রূপান্তরের পিএসএফ নির্মাণ

নিরাপদ খাবার পানি পেল তিন গ্রামের মানুষ

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৬:৩৯ পিএম, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১ | ৬৭৭

অবশেষে নিরাপদ খাবার পানির দুঃখ ঘুচলো শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষের। সেই পুকুরে নির্মিত হয়েছে প্রতিবন্ধীবান্ধব অত্যাধুনিক পিএসএফ। ওই এলাকায় পিএসএফ নির্মাণ হওয়ায় দীর্ঘদিন পর সুপেয় পানির স্বাদ গ্রহন করে আনন্দ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


সোমবার (২৬জুলাই) বিকেলে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় পিএসএফটি। এই পিএসএফ থেকে ওই ইউনিয়নের তিন গ্রামের পাঁচ সহ¯্রাধিক পরিবারের খাবার পানির চাহিদা পুরণ হবে।

গত ৭এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘তিন গ্রামে এক পুকুর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর নিরাপদ খাবার পানির সংকট নিরসনে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চৌমোহনা এলাকায় চার লাখ ৯১হাজার টাকা ব্যয়ে পিএসএফটি নির্মাণ করে খুলনার উন্নয়ন সংস্থা ‘রূপান্তর’।


ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের নেতৃত্বে এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় পুষ্টি উন্নয়নে অংশ্রগ্রহনমূলক সমন্বিত প্রকল্প (ক্রেইন) পিএসএফটি বাস্তবায়ন করে।

পিএসএফে পানি নিতে আসা পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামের তাসলিমা বেগম, মাহিনুর বেগম, রীনা বেগম, শহিদুল ইসলাম জানান, একটি পিএসএফের অভাবে যুগ যুগ ধরে তারা পুকুরের অস্বাস্থ্যকর পানি খেয়েছেন। এতে নানা রকম পানিবাহিত রোগে ভুগতে হয়েছে তাদের। এখন পিএসএফ হয়েছে। আর নোঙরা পানি খেতে হবে না বলে আনন্দ প্রকাশ করেন তারা।


উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, জমিদাতা ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পিএসএফ রক্ষনাবেক্ষণ কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান খান, ইউপি সদস্য ছগির পহলান, রূপান্তরের প্রকল্প সমন্বয়কারী খালেদা হোসেইন মুন, তদারক কর্মকর্তা ত্রিদ্বীপ বিশ্বাস, মাঠ প্রকৌশলী জাকির বিশ্বাস, জেলা সিএসও শফিকুল বাসার, উপজেলা ওয়াস এন্ড সিএসও মোবিলাইজার সুমাইয়া পারভীনসহ উপকারভোগীরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত