অভিযোগের পাহাড় মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
আপডেট : ০৯:১৭ পিএম, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১ | ৬৬৩
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ কামাল হোসেন মুফতির বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতা, রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের বিচার ও বদলীর দাবিতে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডা. কামাল হোসেন মুফতি দীর্ঘদিন ধরে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় কিছু অসৎ মানুষদের সাথে নিয়ে তিনি দূনীতি-অনিয়মের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে। অফিস চলাকালিন সময়ে সরকারি কোয়াটারে বসে তিনশ টাকা ফি নিয়ে রোগী দেখেন তিনি। যার ফলে সাধারণ রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।২০১৯-২০ অর্থ বছরে এম.এস আর সামগ্রী খাতে বরাদ্দকৃত ৩৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৪৫ টাকা ব্যয় না করে আত্মসাত করেছেন তিনি। স্থানীয় কয়েকটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের সাথে তার গোপন চুক্তি রয়েছে। যার ফলে তিনি রোগীদের অহেতুক টেস্টের পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
সর্বশেষ ১৪ জুন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের জন্য পথ্য, খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় ধোলাইয়ের জন্য একটি দরপত্র আহবান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ কামাল হোসেন মুফতি। চাহিদা অনুযায়ী কয়েকজন ব্যবসায়ী দরপত্র জমা দিলেও, টাকা আত্মসাতের জন্য নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরিয়া ট্রেডার্সের নামে কাজ নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন কামাল হোসেন মুফতি । এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এছাড়াও ভুল চিকিৎসা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ডা. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
দরপত্রে অংশগ্রহণ করা এস.এসবি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ বদরুল আহমেদ খান বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, যোগদানের পর থেকে ডা. কামাল হোসেন মুফতি নানা অনিয়ম করে আসছেন। এম.এস আর সামগ্রী খাতে বরাদ্দকৃত ৩৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৪৫ টাকা ব্যয় না করে আত্মসাত করেছেন। পথ্য, খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় ধোলাইয়ের জন্য দেওয়া দরপত্র নাম সর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান আরিয়া ট্রেডার্সকে দেওয়ার জন্য পায়তারা করছে। আরিয়া ট্রেডার্সের কোন অস্তিত্বই নেই মোরেলগঞ্জে। শুধু টাকা আত্মসাৎ নয়, তার স্বেচ্ছাচারিতায় কাঙ্খিত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন মোরেলগঞ্জবাসী। আমরা এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিচার চাই।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ কামাল হোসেন মুফতি বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, যে দরপত্রটি আহবান করা হয়েছে সেটি স্বচ্ছভাবে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। এখানে পক্ষ পাতিত্বের কোন সুযোগ নেই। কিছু লোক আমাকে অন্যভাবে বলেছিল, আমি রাজি না হওয়ায় তারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, আমার কাছে এখনও কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরে আশ্বাস দেন তিনি।