তরুনী আহত, সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি

রামপালে অসহায় এতিমদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে দখল চেষ্টার অভিযোগ

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ১২:৪০ এএম, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১ | ১২২৩

রামপালের গিলাতলা বাজারের একটি বাড়ি ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার বরাবর ভুক্তভোগি এতিম ৪ বোন ও তার মা প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিপক্ষরা কয়েকদফা হামলা চালিয়ে বাড়ী দখলের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে রামপাল থানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে রামপাল উপজেলার গিলাতলা বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় এতিম ৪ বোন ও বৃদ্ধা মায়ের পক্ষে শেখ হাসিনা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে রামপাল থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।


অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে রামপাল উপজেলার গিলাতলা এলাকার মৃতঃ শেখ আব্দুর রব (মাস্টার) এর মেয়ে শেখ হাসিনার গিলাতলা বাজারে কয়েকটি দোকান ঘর রয়েছে। বুধবার ওই এলাকার প্রতিপক্ষ মরিয়ম আক্তার সুমি (৩৫) স্বামী-তুষার হোসেন (৪০), তুহিন শেখ (৩৪), ফিরোজ শেখ (৫০) পিতা- গোলাম মোস্তফা, বাশতলি, রাসেল শেখ (৩৮) পিতা- মৃতঃ ইলিয়াস শেখ, গিলাতলা, রণি মীর (২৮), রকি মীর (২৪) পিতা- হোসেন আলী মীর, সাং- শরাফপুর সহ ১৫/১৬ জন মিলে শেখ হাসিনার দোকান ঘরগুলোতে জোরপূর্বক তালা ঝুলিয়ে দেয়। তিনি কোন উপায় না পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্য রামপাল থানার এসআই শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোকানঘর গুলোর তালা খুলে দেন।

শেখ হাসিনা এ ঘটনার পর রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত নজরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি তেমন কোন সহযোগীতা করেননি বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরবর্তিতে তার বোন এলাচি খাতুন (২৮) গত ৩০-১২-২০২০ তারিখ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ করেন। তিনি বিষয়টি রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ও

্ই দিন বিকাল ৩ টায় প্রতিপক্ষরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘরে ঢুকে এলাচি বেগমের ফিজিও থেরাপি সেন্টার ভাংচুর করে। এতে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এসময় ঠেকাতে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এলাচি বেগম বলেন গত ইং ১৭-১১-২০২০ তারিখ তার বড় ফুফু (রানু বেগম) তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ফারায়েজ বাবদ .১২ শতাংশ সম্পত্তি বিভিন্ন দাগ হতে প্রাপ্ত হলেও তাদের বসবাসরত ৭০ বছরের জমি ও বসতবাড়ী সহ দলিল নং-২২৯২/২০২০ মুলে ৪০ লাখ টাকায় বাঁশতলি গ্রামের মরিয়ম আক্তার সুমির কাছে বিক্রি করে। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বাগেরহাট জেলা জজ আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা চলমান অবস্থায় রয়েছে। যার নং- ৪৯/১৮। বাটোয়ারা মামলার বাদী ও রানু বেগম।

এ ব্যাপারে মরিয়াম আক্তার সুমি বলেন, আমি বৈধ মালিকের কাছ থেকে জমি কিনেছি আমি ওই জমির মালিক। পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগে অল্প সময়ে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসা বানিজ্য করে সম্পদ অর্জন করেছি। বৃহষ্পতিবার দুপুরে রামপাল থানার ওসির সামনে মরিয়ম আক্তারের সাক্ষাৎকার গ্রহন শেষে বের হয়ে যাওয়ার পর বিকাল ৪ টায় সাংবাদিক এম এ সবুর রানার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ০১৬৪৮২১৭৭০২ নম্বর থেকে মরিয়ম আক্তার ফোন করে হুমকি প্রদান করে বলেন, ১ ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রমানসহ গিলাতলা বাজারে এসে দেখা না করলে আপনাকে দেখে নেওয়া হবে।

বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এবং রামপাল থানার ওসি মোঃ মঞ্জুরুল আলম কে ফোন করে বিষয়টি জানান সাংবাদিক সবুর রানা।

এ ব্যাপারে রামপাল থানার ওসি মোঃ মঞ্জুরুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেছিলাম। সমস্যা ৮০ ভাগ মিটেগেছে। শনিবার আবার বসবো আশাকরি সমাধান হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত