হানাদারমুক্ত দিবসে সম্মুখযুদ্ধের স্মৃতিচারণ

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:৩৬ পিএম, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ৫৪৫

শরণখোলায় নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। শরণখোলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় শোভাযাত্রা, শহীদদের মাজার জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোল, পায়রা অবমুক্তকরণ, অতিথিদের লাল-সবুজের উত্তরীয় অর্পণ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।


শুক্রবার (১৮ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর রায়েন্দা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে একাত্তর সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৮ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিন ধরে চলা রায়েন্দার সর্বশেষ সম্মুখযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও বীর যোদ্ধারা।


শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা।


মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন যুদ্ধকালীন ভারতের নৈহাটী ক্যাম্প ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হোসেন, সুন্দরবনের ফয়লাতলা ক্যাম্প ইনচার্জ এম আফজাল হোসাইন, শেষ যুদ্ধের পশ্চিমাঞ্চল দলের কমান্ডার সুবেদার (অবঃ) আব্দুল গফ্ফার, পূর্বাঞ্চল দলের কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ খালেক খান ও আবু জাফর জব্বার।


অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, আওয়ামীলীগ নেতা এম এ রশিদ আকন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি বাবুল দাস প্রমুখ।


উল্লেখ্য, ১৬ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও শরণখোলায় যুদ্ধ চলে আরো দুইদিন। টানা পাঁচদিনের সম্মুখযুদ্ধে পরাস্থ হয়ে পালিয়ে যায় রাজাকাররা। শেষ যুদ্ধে শহীদ হন পাঁচ বীর যোদ্ধা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত