মোরেলগঞ্জে দখল আর দূষণে অস্তিত্ব সংকটে কামারপট্রি খাল
আপডেট : ১১:২৯ পিএম, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | ১৯৭

মোরেলগঞ্জ উপজেলা পৌর সদরের কামারপট্রি থেকে বহমান খালটি এখন দখল ও দূষণের কারনে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। প্রায় দুই শ" বছরের পুরনো এ খালটি কামারপট্রি খাল নামে পরিচিত। উপজেলার পৌরসদর ৪ টি ওয়ার্ড সহ মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাল পাশ্ববর্তী ৫ সহস্রাধিক লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খালের সুবিধাভোগী। এক সময়ে খরস্রোতা ১০ -১২ কিমি. দীর্ঘ এ ভরানি খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা ও ট্রলার চলাচল করত। ২০ বছর আগে এ খালে অপরিকল্পিতভাব একটি বাঁধ দেয়ার কারনে বন্ধ হয়ে যায় নৌ চলাচল। দুর্ভোগে পড়ে খালের পানি নির্ভর এলাকাবাসী। ব্যাহত হয় কৃষি কাজ। পরে যদিও দুর্ভোগ লাঘবে বাঁধ অবমুক্ত করা হয়েছিল। আর দীর্ঘবছর পর খাল অবমুক্তর আগে খালের নাব্যতা চরমভাবে হ্রাস পায়। পাশাপাশি দখল হতে থাকে । বাড়তে থাকে দূষণ। পানি হয়ে পড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী।
বর্তমানে খালটি এখন মরা প্রায়। নাব্যতা হ্রাসে পানির প্রবাহ কমে গেছে। আর এ কারনে শত শত পরিবার পর্যাপ্ত পানির চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। পারিবারিক ও কৃযিকাজে এ খালের পানিই তাদের একমাত্র ভরসা। এ সংকট মূহুর্তে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল খালভরাট করে দখল সহ খালের পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধের পায়তারা করছে। অবৈধ দখলও পানির সংকটরোধে ভুক্তভোগীদের পক্ষে শিমুল খলিফা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাা এস এম তারেক সুলতান গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় খাল ভরাট করে নির্মানাধীন একটি স্থাপনা ভেঙে দেন। তিনি বলেন, সরকারি খাল ভরাটকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ভরানি খালটি যাতে দখল ও দূষণমুক্ত, খনন করে নৌ চলাচল স্বাভাবিকীকরণের পাশাপাশি খালটি পুরোপুরি অবমুক্ত দাবি এলাকাবাসীর।