যুক্তরাস্ট্রে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

তৈয়বুর রহমান টনি, নিউ ইর্য়ক থেকে

আপডেট : ০৪:৪৬ পিএম, শুক্রবার, ১৮ মে ২০১৮ | ৭৩৮

১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করলেও তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারনে ঘাতকদের হাত থেকে রা পান।

১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বিপুল আনন্দ-উল্লাস, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার বজ্র শপথ নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত বাংলায় ১৭ মে ১৯৮১ সালে সারাদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর হতে ল ল অধিকার বঞ্চিত মুক্তিকামী জনতা সেদিন ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। স্বাধীনতার অমর ¯োগান জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রক¤িপত হয়েছিল ঢাকার আকাশ বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ ।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারন স¤পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মো: আব্দুল মান্নান এমপি।

ইফতার দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াত করেন রফিকুল ইসলাম।

গত ১৭ মে বৃহ¯পতিবার সন্ধ্যা ৮ টায় নিউইয়র্ক জ্যাকসন হাইটস পালকি পার্টি সেন্টারে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি মো: আব্দুল মান্নান এমপি বলেন, ওইদিন শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম, ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিল আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, তখন রাজধানী শহর ঢাকা। বস্তুতঃ ১৭ মে ১৯৮১ পুণর্বার প্রমাণিত হয়েছিল, মুজিব বাংলার -বাংলা মুজিবের। ল ল জনতার প্রাণঢালা উষ্ণ সম্ভাষণ এবং গোটা জাতির ভালবাসার ডালা মাথায় নিয়ে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসেছিলেন জনতার আশীর্বাদ-ধন্য নেত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি শেখ হাসিনা। সেদিন গগণ বিদারী মেঘ গর্জন, ঝাঞ্ঝা-বিুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বদলা নেওয়ার ল্েয গর্জে উঠেছিল, আর অবিরাম মুষল ধারে বারি-বর্ষনে যেন ধূয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার মাটিতে পিতৃ হত্যার জমাট বাঁধা পাপ আর মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশে গণ-জাগরণের ঢেউ জাগল, গুণগত পরিবর্তন সূচিত হলো আন্দোলনের, রাজনীতির, গণস¤পৃক্ততা বৃদ্ধি পেল সংগঠনের। দেশবাসী পেল নতুন আলোর দিশা।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি নিরলসভাবে দেশের অধিকারহারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্ন লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। গণমানুষের মুক্তির ল্েয আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। তিনি নীতি ও আদর্শে অবিচল থেকে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি আরও বলেন জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে তৃতীয়বারের ন্যায় রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। রূপকল্প ২০২১ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে রূপকল্প ২০৪১ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত আধুনিক সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। স্বপ্ন নয়, আজ সত্যি। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রচেষ্টায় মহাকাশে ডানা মেললো বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। জাতির গৌরবময় বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট সংস্থা বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ খাতে ব্যয় করছে বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম শুরু হলে এই বিপুল অর্থ দেশেই থেকে যাবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মাহাবুর রহমান , লুৎফর করিম, জয়নাল আবেদিন, সাংগঠনিক স¤পাদক মহিউদ্দীন দেওয়ান , প্রবাসী কল্যান স¤পাদক সোলেয়মান আলী, উপ-দপ্তর স¤পাদক আব্দুল মালেক, উপ-প্রচার স¤পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, শাহানারা রহমান, আব্দুল হামিদ, জহিরুল ইসলাম, নান্টু মিয়া, আনিসুল হক, ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মুনির হোসেন, শিপলু আহমেদ,শ্রমিক লীগের সভাপতি আজিজুল হক খোকন, মোল্লা, বিপ্লব, ছাএলীগের জসীম উদ্দিন, হেলাল মিয়া,পেলসেলভেনিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, লুতফুর রহমান হীমু, রীজু আহমেদ, প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত