শরণখোলায় নির্যাতনকারী এসআই বিশ্বজিৎসহ তিন পুলিশ প্রত্যাহার

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৪:৫৩ পিএম, রোববার, ১৪ জুন ২০২০ | ১২৫৯

প্রতিকী ছবি

শরণখোলায় পোশাক শ্রমিক স্বপন হাওলাদারকে (৩৫) নির্যাতনকারী সেই এসআই বিশ্বজিৎসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। গত ১২জুন এ ঘটনায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোর ডট কম সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রবিবার সকালে তাদেরকে শরণখোলা থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।

মোরেলগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মো. রিয়াজুল ইসলাম গত শনিবার রাতে নির্যাতিত পোশাক শ্রমিক স্বপন ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, শরণখোলা থানার এসআই বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ, কনস্টেবল সেলিম ও সোহাগ।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এসআই বিশ্বজিৎ ও দুই কনস্টেবলকে আপাতত বাগেরহাট পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোরেলগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মো. রিয়াজুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শরণখোলা থানায় বসে উভয় পক্ষের কথা শুনেছি। পুলিশের বিরুদ্ধে গার্মেন্টকর্মী স্বপন ও তার পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, পারিবারিক দ্বন্দ্বে বোনের দায়ের করা মামলায় গত ৯জুন সকালে শরণখোলা থানার এসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল সেলিম ও সোহাগ উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্যখোন্তাকাটা গ্রামের নাদের হাওলাদারের ছেলে পোশাক শ্রমিক স্বপন হাওলাদারকে ধরতে যান। এসময় পুলিশ মারধর করায় স্বপন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়।


পুলিশের দাবি, স্বপনসহ তার পরিবারের সবাই হার্টের রোগী। তাকে গ্রেপ্তার করার পর ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে শরণখোলা হাসসাপাতালে নিয়ে ইসিজি করানো হলে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত