হত্যার কারন ২টি, দাবি পুলিশের

রামপালের সাবেক চেয়ারম্যানের জানাযায় মানুষের ঢল

এম,এ সবুর রানা,রামপাল

আপডেট : ০৮:০২ পিএম, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ৬৬৫৯

রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খানা মঈন উদ্দিন আকতারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি উপজেলার বামনডহরে আনা হয়। এরপর বাদ আসর সোনাতুনিয়া আজিজিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা মাঠে জানাযার নামাজ শেষে ভরসাপুর বাসষ্ট্যান্ড জামে মসজিদের পাশে দাফন করা হয়। তার জানাযার নামাজে হাজার হাজার মানুষের সাথে অংশগ্রহন করেন নিহতের ভায়রা ভাই রামপাল উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাইদ খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল মঞ্জু, খুলনা জেলা বিএনপি সভাপতি এ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, খুলনা জেলা বিএনপি সেক্রেটারী ও খুলনা সিটির সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল কামাল কারিম, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোরা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন, এড. আব্দুল ওয়াদুদ, সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, মাওলানা জুলফিকার আলী, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবু নাসের প্রমুখ।

বোমা হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত বাগেরহাট ডিবি পুলিশ শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ হত্যাকান্ডের মোটিভ উদঘাটের জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ করে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় শংকা বিরাজ করছে। এর আগে দুপুরে তার লাশ বাড়িতে আনা হলে তার লাশ দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। হাজারও মানুষের কান্নায় এলাকায় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ প্রান প্রিয় এই নেতাকে একনজর দেখার জন্য দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসেন। তারা এই হত্যাকান্ডের ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। কি কারনে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু জানা যায়নি।

উলেখ্য, বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে খুলনা- মোংলা মহাসড়কে রামপাল উপজেলার ভরসাপুর বাসষ্টন্ড এলাকায় একদল সন্ত্রাসী তার উপর বোমা হামলা চালালে বিএনপি নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতার (৬০) নিহত হন। খাজা মঈনুদ্দিন আখতার রামপাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজলকুড় ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন

শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে ফিরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা মঈনুদ্দিন আখতারকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ও পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা বোমা মেরে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। ওই দুইটি কারনকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ শুরু করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ খুব শিগগির আসামীদের ধরতে পারবে এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে বলে দাবি ওই পুলিশ কর্মকর্তার। থানায় এখনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত