সিডর বিধ্বস্ত শরনখোলায় ঘর পেয়ে হাসি ফুটেছে দরিদ্র পরিবারে

আলী আকবর টুটুল

আপডেট : ০৬:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১১১২

সিডর আইলা বিধ্বস্ত শরনখোলায় ঘর পেয়ে হাসি ফুটেছে ৯১ দরিদ্র পরিবারে। ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে সরকারের প থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে এই উপজেলায় ৯১টি পাকা ঘর । বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৮৫ টি সেমি পাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। লাখ টাকার বাজেটে সেমি পাকা ঘরের সাথে দেওয়া হয়েছে একটি টয়লেটও। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো এখন আনন্দে আত্মহারা।


শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সিডরে আমাদের অনেকের ঘরবাড়ি ধংস হয়ে যায়। পরে অর্থাভাবে ভালো ঘর তৈরি করতে পারিনি। ছাপড়া ঘরে থাকতাম। ঝড়-বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যেত ঘরের মেঝে। এখন সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে, সঙ্গে পাকা টয়লেটও আছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমরা কখনও ভাবতেও পারেনি যে পাকা ঘর পাব।

ঘর প্রাপ্ত খাদিজা বেগম, আব্দুর রহিম আকন ও মোঃ কবির তালুকদারসহ অনেকে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমাদের খুবই কম জমি ছিল। আমরা জমির উপর কোনমতে গোল ও ছন দিয়ে ঝুপড়ি করে থাকতাম। কিছুদিন আগে টিএনও অফিসের লোকেরা আমাদেরকে পাকা ঘর করে দেয়। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে পাকা ঘরৈ থাকি। ভাবতে খুব ভাল লাগে, যে আমাদের মত গরীবেরাও পাকা মেঝেতে ঘুমাতে পারে। ঘর প্রদানের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।

স্থানীয় রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন রুমী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, যাদের ১ থেকে ১০ শতক জমি আছে, কিন্তু থাকার মত ভাল ঘর নেই। তাদের তালিকা তৈরী করে দিয়েছি। মাত্র এক লাখ টাকায় একটি সেমি পাকা ঘর পেয়ে দরিদ্ররা খুশি হয়েছেন।’ আরও অল্পকিছু ঘরের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান জনপ্রতিনিধি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় শরনখোলায় ৪টি ইউনিয়ন থেকে প্রথম পর্যায়ে ৯১টি পরিবারের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছিল। তাতে ৯১টি ঘর অনুমোদন হয়ে নির্মাণের জন্য ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এক লাখ টাকা করে যে বাজেট সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে তা দিয়েই নির্দিষ্ট ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে শরনখোলা উপজেলার ঘরগুলো। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৮৫ টি ঘর নির্মান কাজ চলছে।


জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৮৭১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯১৪টি ঘরের নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। ২ হাজার ৯৫৭টি ঘর নির্মানাধীন রয়েছে। যার কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত