মোংলায় সরকারী রেকর্ডিয় খালের বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ১২:৫০ এএম, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২ | ৩৬২

মোংলায় শুরু হয়েছে প্রবাহমান সরকারী রেকর্ডিয় খালের বাঁধ অপসারণের কাজ। ৬ জুলাই বুধবার সকাল থেকে এ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। কালিকাবাড়ী খালে বাঁধ থাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় সিলেটের মত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বাঁধ কাটায় সাধারণ মানুষের জলাবদ্ধতার নিরসন হবে। বাঁধ অপসারণ এ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের সাথে রয়েছেন কোস্ট গার্ড, পুলিশ, আনসারসহ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, মোংলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৫৫টি সরকারী রেকর্ডিয় খাল রয়েছে। প্রতিটি খালে এক বা একাধিক বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছিলো স্থানীয় প্রভাবশালী জমি ও ঘের মালিকেরা। সরকারের নির্দেশনায় বুধবার সকাল থেকে ওই সকল খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথমেই চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকাবাড়ীর কাঠালতলা খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বাঁধই অপসারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।


৫৫টি খালে প্রায় শতাধিক বাঁধ রয়েছে। কালিকাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা শংকর বৈদ্য বলেন, বাঁধ অপসারণ করায় আমরা গ্রামবাসী ইউএনও স্যার ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এতোদিন আমরা জলাবদ্ধতায় ছিলাম, খুব কষ্ট হতো। এখন পানি নিষ্কাশন হবে আমরা উপকৃত হবো।

একই গ্রামের অনিল মন্ডল বলেন, খাল আটকা থাকায় আমাদের ধান ও মাছ কোনটাই হচ্ছেনা। বিলে পানি ভরা ঘাসও নেই, গরু-ছাগল পুষতে পারিনা। খাল কাটায় উপকার হবে, জমিতে পানি ওঠানামা করবে, জলাবদ্ধতা থাকবেনা।

আর খুকু মন্ডল বলেন, এক দুইটি খালের বাঁধ কাটা হচ্ছে, সব কাটতে পারবেনা, এখানে টাকা পয়সার খেলা। অনেকদিন ধরেই এসব হয়ে আসছে। এখন কেটে দিয়ে যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যে এতে আবারও বাঁধ দিয়ে দিবে প্রভাাবশালীরা।


চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, খালে বাঁধ থাকায় পানি নামতে না পারায় কালিকাবাড়ী এলাকা জুড়ে সিলেটের মত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকার দুইটি খালের বাঁধ কাটায় এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবে কয়েক গ্রামের মানুষ।


ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, সরকারী খালে যারা বাঁধ দিয়ে রেখেছেন তাদেরকে তা অপসারণে এক মাস আগে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা তা না করায় আমরা এ বাধ কাটতে মাঠে নেমেছি। এখানে কাউকে কোন রকম ছাড় দেয়া হবেনা। সকল বাঁধ অপসারণ করে সরকারী খাল উম্মুক্ত রাখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত