শরণখোলায় জলাবদ্ধতা নিরসন, নদী ও বেড়িবাঁধ ভাঙনরোধে আগাম পরিকল্পনা গ্রহন

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ১০:৩৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২ | ৩১১

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে শরণখোলাকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে এবং নদী ও বেড়িবাঁধের ভাঙনরোধে করনীয় সম্পর্কে আগাম প্রস্তুতি গ্রহনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দিনভর বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরণখোলার ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন। তারা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন বলে জানা গেছে।


গতবছর বর্ষা মৌসুমে শরণখোলায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইসগেট স্থাপন না করায় বৃষ্টির পানি আটকে এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। সেবার জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার হেক্টর রোপা আমন ও আমনের বীচতলা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমনের চারা সংকটে পড়ে চাষিরা। পরবর্তীতে অন্য এলাকা থেকে চড়ামূল্যে ধানের চারা সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের। শত শত ঘের-পুকুরে মাছ ভেসে যায়। কৃষি ও অন্যান্য মিলিয়ে শত কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে এই উপজেলার মানুষ। পরে ক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন স্থানের বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিষ্কাশন করে।

অপরদিকে, নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করায় ইতোমধ্যেই ঝুঁকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান। নদী ভাঙনের ফলে সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকায় বাঁধে বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধ রক্ষায় বসানো ব্যাপক এলাকার সিসি ব্লক ধসে গেছে। এতে মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই শরণখোলাকে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে আগাম এই প্রস্তুতি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, এবার যাতে বর্ষা ও আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজনই সম্মিলিতভাবে আগাম প্রস্তুতি গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাঁধের ৭টি স্থানে স্লুইসগেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গেট নির্মাণের কাজ শুরুর আগে জলাবদ্ধতা দেখা দিলে জরুরী পরিস্থিতিতে বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।


এছাড়া, সাউথখালী ইউনিয়নেরঝুঁকিপূর্ণ বগী ও গাবতলা এলাকায় তিন কিলোমিটার নদী শাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন এমপি আমিরুল আলম মিলন।


পরিদর্শনকালে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী, পানি উন্নয়ন বোর্ডে বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ, বিশ্ব ব্যাংকের সিইআইপি-১ প্রকল্পের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রায়েন্দা ইউপির চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত