একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ২৫ লাখ

মোংলায় টাকা আত্মসাতকারীকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১১:৫৩ পিএম, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ৬৩৭

মোংলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সাবেক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকা আত্বসাতের ঘটনায় পুলিশের হাতে প্রমানসহ আটক হয় অর্চনা গুপ্ত। তবে অর্চনা গুপ্তর ৮ মাসের বাচ্চা থাকার বিবেচনা করে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে সাবেক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানাগেছে, মোংলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি ২০১৬ সালের ১৪ আগস্টে ৩ মাসের ছুটি শেষে বিদেশ থেকে ফিরে এসে অফিসের টাকা আত্বসাতের বিষয় ধরে ফেলেন। এসময় কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী অর্চনা গুপ্তকে হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলে অর্চনা গুপ্ত অসুস্থতার কথা বলে তালবাহানা করতে থাকে । এক পর্যায় অর্চনা গুপ্তর বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান কার্যালয় লিখিত ভাবে অনুরোধ করলে অর্চনা গুপ্ত ৬ মাসের মাতৃত্বকালিন ছুটি নিয়ে চলে যায় ।এরপরে উপজেলা সমন্বয়কারী ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বদলী হয়ে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় বদলী হয়ে চলে যায় ।


মোংলা উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আর্থিক অনিয়মের বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামের আবেদনের পেক্ষিতে হেড অফিসের স্মারক নং-এবাএখা/প্রশাঃ/তদন্ত/১৪০/২০১৭-১৩/৬৯ তাং-১৭/০১/২০১৮ এর আলোকে একটি অডিট টিম গত ১২ ফেব্রুয়ারি মোংলাতে তদন্তে আসে। ঐ টিমের তদন্তকালে অর্চনা গুপ্ত সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবির স্বাক্ষর কম্পিউটার স্ক্যান করে বসিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন।


সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি তার স্বাক্ষর কম্পিউটার স্ক্যান করে জালিয়াতির বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মংলা থানায় পাঠানো হয়। পরে পুলিশের এস আই গোলাম মোস্তফা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সামনে তাকি কম্পিউটারের অভিযান চালিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির সেই প্রমান সহ একটি ল্যাপটপ জব্দ করে। এরপর আটক করা হয় কঃ অঃ কাঃ হিসাব সহকারী অর্চনা গুপ্তকে।

বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে নিজের দোষ স্বীকার করে ৮ মাসের সন্তানের কথা বিবেচনা করে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করে অর্চনা । তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি বিবেচনায় এনে থানা হাজত থেকে মুক্ত করেন অর্চনাকে ।

মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আটক অর্চনা গুপ্ত নিজের দোষ স্বীকার করে লিখিত দিয়েছে কিন্তু তার শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তার বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান,টাকা আত্বসাতের বিষয় প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত