কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশের ৩৬৫টি মামলা
01/01/1970 12:00:00পি কে অলোক,ফকিরহাট
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ সড়ক পরিবহন ও নিয়ন্ত্রন আইন লংঘনের অপরাধে গত দুই মাসে ৩৬৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এতে প্রায় ১৪লক্ষ ৬০হাজার টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। সড়ক মহাসড়কে সড়ক র্দুঘটনা প্রতিরোধে নিয়মিত চেকপোষ্ট পরিচালনা করায় পূর্বের তুলনায় এখন সড়ক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে। এধারা অব্যাহত রাখতে পারলে সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অপরাধ জনক কার্যকালাপ বন্ধ ও সড়ক র্দুঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উর্দ্ধতন হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দ্দেশে তাঁরা সড়কে নিয়মিত চেকপোষ্ট পরিচালনা করে আসছেন। যারই ফলশ্রুতিতে গত দুই মাসে অথাৎ নভেম্বর মাসে ২১২টি এবং ডিসেম্বর মাসে ১৫৩টি সহ মোট ৩৬৫টি মামলা দায়ের করেন। নভেম্বর মাসে ২১২টি মামলার মধ্যে ৭৮টি ইজিবাইক, ৬টি ট্রলি, ২৯টি বড় ট্রাক, ৮টি মিনি ট্রাক, ২টি বড় বাস, ১টি মিনি বাস, ২০টি পিকাপ, ৪টি প্রাইভেটকার, ৪টি মাইক্রো, ৬২টি মটরসাইকেল ও ১টি রেগুনা। স্থানীয়রা জানান, কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ মহাসড়কে নিয়মিত চেকপোষ্ট বসানোর কারনে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন তেমন একটা চলাচল করতে পারছে না। শূধু তাই নয়, নছিমুন করিমুন ফটভটি সহ নিষিদ্ধ অন্যান্য অবৈধ যানবাহনও এই মহাসড়কে তেমন একটা চলাচল করে না। আর চলাচল না করার কারনে পূর্বের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে। এদিকে বিভিন্ন যানবাহন চালক ও পথচারিরা অভিযোগ করে বলেছেন, রুপসা-মোংলা ও বাগেরহাট মহাসড়কের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (চুলকাটি, ফয়লা, রোনসেন, দিগরাজ, টাউন নওয়াপাড়া, সিএন্ডবি বাজার, বারাকপুর) সড়কের উপর হাট-বাজার বাসা এবং সাইড সোল্ডার দখল করে ইটবালু ও কাঠের ব্যবসা পরিচালনা করার কারনে যানবাহন চলাচলে চরম প্রতিবন্ধিকতার সৃস্টি হয়। এই প্রতিবন্ধিকতার কারনে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। তাদের দাবী উপরোক্ত সমস্যা গুলি চিহিৃত করে তা সমাধান করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।
এব্যাপারে কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) জুবাইর এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তারা সড়কে নিয়মিত চেকপোষ্ট বসিয়ে মামলা দায়ের করে যাচ্ছেন। যার ফলে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন তেমন একটা চলাচল করতে পারছেনা। শূধু তাই নয়, নছিমুন করিমুন ফটভটি সহ নিষিদ্ধ অন্যান্য অবৈধ যানবাহনও এই মহাসড়কে তেমন একটা চলাচল করে না। আর চলাচল না করার কারনে পূর্বের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে।