বাগেরহাটে শীত ও ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবন ব্যহত : বৃদ্ধ ও শিশু রোগীর অস্বাভাবিক চাপ
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
সুন্দরবন উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রায় সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে চারদিক আবৃত হয়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার অধিকাংশ সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়েও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। দক্ষিণাঞ্চলে সকল নৌযানের চলাচলেও গতি ধীর হয়ে পড়েছে। মাত্র ১০/১৫ ফুই দূরের বস্তু সহসা দেখা যাচ্ছে না।
অপরদিকে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। আকস্মিক ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, বাতব্যাথা, বসন্ত, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের উপদ্রব বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বাড়ছে। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ধারণক্ষমতার তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা যায়, বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। গত এক সপ্তাহে প্রায় আড়াই’শ জন শিশু ভর্তি হয়েছে এ হাসপাতালে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ১শ শয্যার বিপরীতে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ৪১ জন শিশুসহ মোট ২৫৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। শুধু জেলা হাসপাতাল নয়, বাগেরহাটে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে একই অবস্থা।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার সামছুর নাহার কচি বলেন, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ এখন অনেক বেশী। এদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, আমাদের ২৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও জনবল রয়েছে ১শ শয্যার। অস্বাভাবিক চাপের কারনে আমাদেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।এই অবস্থায় রোগীর চাপ থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ঠান্ডাজনিত রোগীর প্রকোপ হটাৎ বেড়েছে। ইনডোর ও আউটডোর দুই জায়গাতেই শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, বাতব্যাথা-সহ নানা ধরনের রোগী আসছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে এক হাজারের বেশী রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে।’’
এদিন সকালে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘনকুয়াশায় সূর্যের দেখা না মেলায় এবং উত্তর দিক থেকে বাতাস অব্যাহত থাকায় শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। ‘
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারনে ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করা যাচ্ছেনা। কুয়াশায় চারা ও পানবরজ নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।