মার্কা নয় বাবা ব্যক্তি দেখে ভোট দেন, এডিটিং করে তাঁর ভিডিও ছাড়া হয়েছে -ছেলের সংবাদ সম্মেলন
01/01/1970 12:00:00চিতলমারী প্রতিনিধি
‘আমার বাবা মোঃ সিরাজ শেখ (৭৫) বৃদ্ধ হলেও পেশায় একজন ভ্যানচালক। তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির নিরীহ মানুষ। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। ভোটের সময় মার্কা নয় তিনি ব্যাক্তি দেখে ভোট দেন। গত ২০২৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি চক্র আমার বাবাকে ফু্সঁলিয়ে কিছু অবন্তার কথা ভিডিও ধারণ করে এবং সেগুলো তাদের প্রয়োজন মত এডিটিং করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচার করে। প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায় ওই প্রতারকরা হিজলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গাজী আব্দুর রহমানকে ফাঁসাতে ও তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে আমার সহজ-সরল বাবাকে ব্যবহার করেছে।’ রবিবার (১৯ জানাুয়ারী) বেলা ১২ টায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বোয়ালিয়া গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ সিরাজ শেখের ছেলে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সেখ এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি আরও জানান, তিনি গাজী আব্দুর রহমানের প্রতিবেশী। তাঁর জানামতে গাজী আব্দুর রহামন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন নিবেদিত কর্মি ও বারবার হিজলা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি এবং সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। তিনি ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিগত সরকারের আমলে কোন প্রকার পাতানো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন নাই এবং আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করে নাই। কিন্তু ২০২৪ সালে উপজেলা নির্বাচনের পর রাত ১২ টার দিকে রিয়াজের বৃদ্ধ বাবা সিরাজ সেখকে কিছু সংখ্যক লোক তাদের ইচ্ছা মত কথা বলিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভিডিও ধারণ করে।
পরে তাদের প্রয়োজন মত এডিটিং করে রিয়াজের পরিবারের সাথে সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আব্দুর রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছে। যেগুলো সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, দুরভিসন্ধিমূলক ও তাঁর সহজ-সরল পিতাকে হীনস্বার্থে ব্যবহারের অপকৌশল মাত্র। ভিডিওতে বলা কথার সাথে গাজী আব্দুর রহমানের কোন সম্পর্ক নেই বলে রিয়াজ উল্লেখ বরেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সেখের বৃদ্ধ বাবা ভ্যানচালক মোঃ সিরাজ শেখও উপস্থিত ছিলেন।