Logo
table-post
চিতলমারীতে চারজন রক্তাক্ত জখম, থানায় দুটি মামলা, চারজন গ্রেফতার
01/01/1970 12:00:00

চিতলমারী প্রতিনিধি 
চিতলমারীতে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারপিটে দুই বৃদ্ধ এবং পূর্বশত্রুতা ও মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) রাত ৮ টায় উপজেলার বড়গুনি হুজুরবাড়ির মোড়ে ও রাত সোয়া ৮টায় কুড়ালতলা মোড়ে এ ঘটনা দুটি ঘটে।

এদের মধ্যে বড়গুনি হুজুরবাড়ির মোড়ে প্রতিপক্ষ আব্বাস আলীর লোকজনের হামলায় সবুর মুন্সি (৬৫) ও অলিয়ার মুন্সি (৫৫) এবং কুড়ালতলা মোড়ে মো. সোহেল শেখের ছুরিকাঘাতে রাব্বি হাসান সুজন মুন্সি (৩৫) ও মো. নাইম শেখ (২৭) গুরুতর আহত হন। আহত সবুর মুন্সি ও অলিয়ার মুন্সি বড়গুনি গ্রামের মোশারেফ মুন্সির ছেলে এবং রাব্বি হাসান সুজন মুন্সি কুড়ালতলা গ্রামের মৃত রহমত মুন্সির ছেলে ও মো. নাইম শেখ আড়ুয়াবর্নী গ্রামের হারেস শেখের ছেলে। আহতদের রাতেই চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে রাব্বি হাসান সুজন মুন্সি ও মো. নাইম শেখের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের দুইজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সবুর মুন্সি ভাই জাকির মুন্সি এবং নাইম শেখের চাচাতো ভাই সেকেন্দার মুন্সি বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে দুই মামলার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। এ দিন সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 


এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আব্বাস আলীর লোকজনের মারপিটে সবুর মুন্সি ও অলিয়ার মুন্সি এবং মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. সোহেল শেখের ছুরিকাঘাতে রাব্বি হাসান সুজন মুন্সি ও মো. নাইম শেখ আহত হয়।

খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাতেই পুলিশ দুই মামলার চারজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
 

@bagerhat24.com