Logo
table-post
দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধের পর আজ উম্মুক্ত সুন্দরবন
01/01/1970 12:00:00

মাসুদ রানা

নানা প্রজাতির মাছ এবং বন্য প্রানীর প্রজন মৌসুম তাই এর বংশ বৃদ্ধি ও সংরক্ষনের লক্ষে দীর্ঘ তিন মাস সরকারী ভাবে বন্ধ ঘোষনা করে বন মন্ত্রনালয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ (১ সেপ্টেম্বর) রবিবার থেকে উম্মুক্ত হয়েছে ম্যানগ্রোফ সুন্দরবন। সামনে পর্যটক মৌসুম এবং জেলেদের মাছ আহরণের সঠিক সময় তাই বনের প্রবেশ প্রত্যাহার করায় সকাল থেকেই জেলেরা বনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অন্য দিকে, বনের সৌন্দার্যের লীলাভুমি যেন হাতছানী দিয়ে ডাকছে দেশ-বিদেশী দর্শনার্থীদেরও। পর্যটক আগমনের জন্য নতুন সাজে সাজিয়েছে নৌযান, প্রস্তুত বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র সহ অন্যান্য পর্যটক স্পটগুলো। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে পিছনের লোকসান কাটিয়ে ঘুড়ে দাড়াতে পারবে বলে জানায় ট্যুর ব্যাবসায়ীরা। 


বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। মোংলা বন্দরের কোল ঘেষা সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ। যে দিকে চোখ যায় শুধু বন আর বন। বনের অপরুপ সৌন্দর্য, বন্যপ্রানীদের ডাক আর সুন্দরবনের রং-বেরঙ্গের পাখীদের কলকাকোলীতে মুগ্ধ করে পর্যটকদের। এ বনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির আর চিত্রা হরিনসহ নানা স্থল ও জলজ প্রাণীর আশ্রয়াস্থল। মাছ ও ব্যপ্রানী প্রজনন মৌসুম তাই এর বংশ বৃদ্ধির লক্ষে তিন মাসের জন্য বনের নদী-খালে মাছ আহরণ ও পর্যটক প্রবেশের নিষেজ্ঞা আরোপ করায় দেশী-বিদেশী দর্শনার্থী শূণ্য হয়ে পড়ে গোটা সুন্দরবন। জেলেরা হয়ে পরে বেকার, ফলে কমে যায় সরকারী রাজস্বও।  


বন্ধের পরে ১ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে আবারও বনের নদী-খালে মাছ ধরার জন্য জাল-নৌকা আর সরঞ্জাম নিয়ে প্রবেশ করছে জেলেরা। বনের ষ্পটগুলোতে প্রবেশ করতে শুরু করছে পর্যটকরাও। সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া, আন্দারমানিক, দুবলা, কটকা, কচিখালী, নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী ও বনাঞ্চলের সবকটি পর্যটক স্পটে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে এক ধরনের মিলন মেলায় পরিণত হবে। সে জন্যই নতুন সাজে সাজিয়ে রেখেছে পর্যটক ষ্পটগুলো। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও বনবিভাগ। 


দি-সাউদার্ন ট্যুর এর পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পর্যটক বহনকারী ট্যুর ব্যাবসায়ীদের। গত তিন মাস কর্মচারীদের বেতন, নৌযান সচল রাকা সহ অন্যান্য দিকে প্রচুর খরচ হয়েছে। তাই এবারে আশা করা যাচ্ছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা আর আবহাওয়া অুনকুলে থাকেল দুই থেকে তিনগুন বাড়বে দর্শনার্থী সংখ্যা, আর পুর্বের লোকসানের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ট্যুর ব্যাবসায়ীরা। 


বন্যপ্রানী প্রজনন ও পর্যটক ষ্পট সুন্দরবন করমজল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, গেল ঘুর্নিঝড় রেমালে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনে। গত তিন মাস বনে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকায় কিছুটা ঘুরে দাড়িয়েছে সুন্দরবন। রবিবার ১ সেপ্টম্বর থেকে বনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। সুন্দরবনের করমজল সহ অন্যান্য পর্যটক ষ্পটগুলোতে দেশ-বিদেশী দর্শনাথীদের ভ্রমনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বন বিভাগ। দর্শনার্থীদের আগমন এবং নিরাপত্তর জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশী বন রক্ষীরাও প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি দেশ-বিদেশী পর্যটকরা নিরাপদে সুন্দরবনের সৌন্দার্য উপবোগ করতে পারবেন। 


গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ ও বনের নদী-খালে মাছ ধরা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে বন বিভাগ।
 

@bagerhat24.com