দেশের চাহিদা পূরণে বিদেশী বেশী রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হচ্ছে মোংলা বন্দরে
01/01/1970 12:00:00মাসুদ রানা,মোংলা
অপার সম্ভাবনাময় মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের রিকন্ডিশন গাড়ী আমাদানি। অন্য বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দর দিয়ে দেশে আমদানীকরা প্রায় ৭০% গাড়ি খালাস করা হয়। যার ফলে গত অর্থ বছরে ১৫ হাজার ৩৪০টি গাড়ী আমদানির মধ্যদিয়ে রাজস্ব আদায়ে নবযুগের সূচনা হয় মোংলা বন্দরে। এভাবে ব্যাবসায়ীদের প্রতিবছরই বাড়তে থাকে বিলাশবহুল বিরকন্ডশন গাড়ি আমদানি করে আসছে।
বন্দরের ব্যাবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা জনান, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে মোংলা বন্দরের সাথে দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাবসায়ীদের একটি সেতু বন্দন তৈরী হয়েছে। ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কমেছে অর্ধেকে। সড়ক পথ ভাল হওয়ায় এবং সময় কম লাগায় আমদানীকারকদের গাড়ি নিয়ে আসতে সময় ব্যায় হচ্ছে মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা। সে জন্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে অন্যান্য পন্য আমাদানীর পাশাপাশি গাড়ি আমদানিও বেড়েছে। এ খাত থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় হচ্ছে বন্দর সহ সরকারেরও। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত অর্থ বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৫ হাজার ৩৪০টি গাড়ি আমদানী হয়েছে মোংলা বন্দর দিয়ে। যা ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ছিল ১৩ হাজার ৫৭৬টি। ঢাকার সাথে সুন্দর সড়ক পথ ও মোংলা বন্দরে জাহাজ জট না থাকা ও গাড়ী রাখার পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় এবছর আরো বেশী গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানী হবে বলেও জানায় গাড়ি আমদানীকারক ব্যাবসায়ীরা।
তারা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ী বিভিন্ন পন্য আমাদনীর পাশাপাশী রপ্তানিকৃত পন্যও বেড়েছে এ বন্দর দিয়ে। যা থেকে গত অর্থ বছরে মোংলা বন্দর রাজস্ব আয় করেছে ৩১৯ কোটি টাকা। এমন আমদানি-রপ্তানির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বন্দরের রাজস্ব আয় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা।তারা আরো বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত মজুদ করার জায়গা থাকায় ব্যাবসায়ীরা এখন এ বন্দর দিয়ে গাড়ি সহ বিভিন্ন পন্য আমদানী-রপ্তানী করছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব কালাচাদঁ সিংহ বলেন,অন্য বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দরে গাড়ি রাখা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা, গাড়ি রাখার সেট, সিসি ক্যামরা সহ ব্যাপক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে ব্যাবসায়ীদের মোংলা বন্দর। এছাড়া বন্দর ব্যাবজারকারীরা যাতে নিরাপদে ব্যাবসা করতে পারে সেজন্য সকল ইকুপমেন্ট সংযোজন করে নতুন ভাবে বন্দরকে সাজিয়ে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া পন্য বোঝাই দেশ-বিদেশী জাহাজ এসে যেন দ্রুত পন্য খালাস করে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে পারে ব্যাপারেও সকল সহযোগীতার জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব সময় প্রস্তুত হয়ে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে সর্বপ্রথম রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি শুরু হয়। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ১৫ বছরে মোংলা বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৯টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়েছে।