
কচুয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহত-২,আটক -১
01/01/1970 12:00:00শুভংকর দাস বাচ্চু
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহত হয়েছে দুই জন। এঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মঘিয়ার আইউব আলী শেখের ছেলে নাইমুল শেখকে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার উপজেলার মঘিয়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে রায়হান বাদী হয়ে ওবায়দুল শেখ (৩৫), আইয়ুব আলী ফকির (৪৫), সাখাওয়াত ফকির (৫৬) নাইমুল শেখকে (৩০) ও সপ্না বেগম (৫৫)কে আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে মঘিয়া ইউনিয়নের ওবায়দুল শেখ এর নেতৃত্বে নাঈম শেখসহ স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় হামলা, চাঁদাবাজ, ঘের দখল, লুটপাটসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৩ ডিসেম্বর সকালে মঘিয়া ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফার (৬৮) স্ত্রীর নামে সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে জমিতে চাষাবাদ করতে আসে ওবায়দুল শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী। এতে গোলাম মোস্তফা ও তার দুই ছেলে জমিতে চাষাবাদের কাজ করতে নিষেধ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী মোঃ ওবায়দুল শেখ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে গোলাম মোস্তফা তার বড় ছেলে আল ইমরান ও ছোট ছেলে রায়হান রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গোলাম মোস্তফাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার মেজো ছেলে গোলাম মর্তুজা বলেন, আমার পিতা ও বড় ভাইকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখন করেছে। এখনো আমার পিতা মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি জানান, আমার পরিবার কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। সন্ত্রাসীরা আমার মায়ের নামের সম্পত্তি দখল করতে এসে বেআইনিভাবে আমাদের উপর হামলা করে। এর সঠিক বিচার ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রাশেদুল আলম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলায় আমরা নাইমুল শেখকে আটক করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। আটক নাঈম শেখের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।