Logo
table-post
চিতলমারীতে মা-মেয়েকে মারধর করে বসতভিটে দখলের অভিযোগ
01/01/1970 12:00:00

এস এস সাগর, চিতলমারী 

চিতলমারীতে বসতভিটায় অবস্থিত রান্নাঘর ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ঘর তুলে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে বিধবা গীতা দাস (৬০) ও তার মেয়ে স্নিগ্ধা দাস (৪০) নামের দুই নারী মারধরের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।


বিধবা গীতা দাসের ছেলে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (নাজিরপুর, পিরোজপুর) প্রান্ত দাস জানান, তার বাবা মৃত দেবেন্দ্র নাথ দাস ১৯৮০ সালে চিতলমারী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পাশে ১২ শতক জায়গা ক্রয় করেন। তখন থেকে তারা ওই জায়গায় ঘরবাড়ি তুলে বসবাস করে আসছেন। ৪-৫ বছর আগে থেকে শিবপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ফারুক মুন্সি তাদের জমির মধ্যে ০.৬২ শতক জায়গা দাবী করে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ফারুক মুন্সি ২০ থেকে ২৫ জন লোক নিয়ে তাদের বসত ভিটায় অবস্থিত রান্না ঘর ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ঘর তুলে জায়গা দখল করেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ফারুক মুন্সি ও তার লোকজন তার মা ও বোনকে বেধড়ক মারধর করেছে। পরে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থল আসেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 


অভিযুক্ত ফারুক মুন্সি মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই জায়গা তার স্ত্রী ফজিলাতুননেছা বেগমের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। (মৌজা-খড়মখালী, খতিয়ান নং-১১৩৫, দাগ নং-২৫৩, জমির পরিমান পোনে এক শতক।) যার বিআরএস রেকর্ড ও মিউটেশন এবং হাল দাখিলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 
চিতলমারী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মাহামুদ বলেন, ‘মারপিট ও দখলের

অভিযোগ পেয়ে আমরা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার আগেই ওরা ঘর তৈরি করে ঘরে তালা দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় প্রান্ত দাস থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এর আগে ফজিলাতুননেছা বেগম প্রান্ত দাসের বিরুদ্ধে জায়গা নিয়ে একটি অভিযোগ করেছিলেন। আমরা জায়গার বিষয়টি আদালত বা স্থানীয় ভাবে মিটাতে বলেছি। মারপিটের বিষয়ে তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।’ 

 

@bagerhat24.com