বাল্য বিবাহে মাতৃমৃত্যু ও বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে : ৭৯ ভাগ নারী সহিংসতার শিকার
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাল্য বিবাহ সমাজে ক্যান্সারের মত বাসা বেঁধেছে। বাল্য বিবাহের ফলে পারিবারিক কলহ, মাতৃমৃত্যু, বহু বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৭৯ ভাগ নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আইন রয়েছে, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে বাল্য বিবাহ রোধে কাজ করা হচ্ছে। ওয়ার্ড থেকে জাতীয় পর্যায়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ কমিটি রয়েছে। এরপরেও বাল্য বিবাহ বন্ধ হচ্ছে না। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আইনের যথায়থ প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরে সচেতনা বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক জনগোষ্টির আর্থিক সচ্ছলতা খুবই জরুরী।’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটে বাল্য বিবাহ নিরোধে ২ দিনের প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম-সচিব এবং প্রকল্প পরিচালক এস.এম লতিফ এ কথা বলেন। বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য তিনি সার্বিক সামাজিক সুরক্ষার ওপর জোর দেন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান, ২৫০ শয্যা বাগেরহাট হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক অসীম কুমার সমদ্দার, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহেলা পারভীন, ইউনিসেফ খুলনা বিভাগের প্রধান মোঃ আবু নাসের, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আব্দুল কাদের, জেলা শিশু কর্মকর্তা আছাদুর রহমান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস.এম রফিকুল ইসলাম, বাগেরহাট পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুদ্দীন মোল্লা, বাগেরহাট জেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা মোঃ শামীম আহসান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকা, ইউনিসেফের টেকনিক্যাল অফিসার জাওয়াদ আমিন হাসিব প্রমুখ। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাগেরহাট শহরের দশানীর ধানসিঁড়ি মিলনায়তনে অনুষ্টিত এ কর্মশালায় জেলা বাল্য বিবাহ নিরোধ কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষা ও দারিদ্রতা বাল্য বিবাহ নিরোধে বড় বাধা। লিঙ্গসমতা, আর্থিক সঙ্গতি, সচেতনতা ও কুসংস্কার দূর করা খুবই প্রয়োজন। মাঠ পর্যায়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, গ্রাম পুলিশসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত উদ্যোগে বাল্য বিবাহ নিরোধ সম্ভব। কর্মশালায় বাল্য বিবাহ নিরোধে দুর্বল দিক গুলো চিহ্নিত করে কৌশল পত্র প্রনয়ন করা হয়।