Logo
table-post
রামপালে একের পর এক চিংড়ি ঘের লুট
01/01/1970 12:00:00

এম, এ সবুর রানা, রামপাল 

একের পর এক চিংড়ি ঘের লুটের ঘটনায় এলাকার ঘের মালিকদের মাঝে চরম আতংক ও ভীতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন এলাকার ঘের মালিকেরা এখন আলআমিন গংয়ের আতংকে রয়েছেন। আলআমিন গংয়ের লুটপাটে ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষও। আর একের পর এক এই ঘের লুটের ঘটনা ঘটছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। 

রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলআমিন শেখ শ'খানেক লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ২৪০বিঘার চিংড়ি ঘের থকে লাখ টাকা মাছ লুটে নিয়ে গেছে। তার ঘেরটি ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের ক্যাটার্জীখালী গ্রামে। এছাড়া ঘের থেকে নগদ ১লাখ ৪২হাজার টাকা ও মালামাল লুটে নেয়। তিনি বলেন, কি বলবো বলেন-আমাদের দলের লোকই (আলআমিন) লোকজন নিয়ে এই লুটপাট চালাচ্ছে। আর তার এ অপকর্মে ইন্দোন দিচ্ছেন রামপাল থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন। 

ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তরফদার এনামুল হক প্রিন্স জানান, আলআমিন গং বুধবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় শাহিনা বেগমের ১শ বিঘার ঘেরে লুটপাট চালায়। এ সময় ঘেরটি হতে ৮০হাজার টাকা মূল্যের বাগদা চিংড়ি, ৮হাজার টাকার বাইলা মাছ ও দুই হাজার টাকার চিংড়ি মাছ লুট করে নেয়। ঘের মালিক শাহিনা বেগম বলেন, আমার ঘের লুট করে যাওয়ার সময় ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দাবীকৃত চাঁদা না দিয়ে ঘের দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়ে যান। এছাড়া এসব ঘটনা থানা পুলিশকে না জানাতেও শাসিয়ে যান আলআমিন। 

এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা বাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ৯০বিঘার ঘেরের মাছ লুটে নেয় আলআমিন গং। এ ঘেরটি হতে ৮০হাজার টাকার মাছ লুট করা হয়। 

আর এর আগে বুধবার রাতে একই ইউনিয়নের দেড়শ বিঘার মীরের ঘের থেকে লাখ টাকার মাছ লুটে নেয় আলআমিন গং। 

 

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘের লুটপাটে মেতে রয়েছে আলআমিন গং। 

আলআমিন গংয়ের ভয়ে ভুক্তভোগী কোন ঘের মালিকই এখনও পর্যন্ত লুটপাটের ঘটনায় থানা অভিযোগ দেয়ার সাহস করেনি। 

 

এ বিষয়ে অস্বীকার করে আলআমিন বলেন, আমি কিংবা আমার লোকজন কোনভাবেই এসব লুটপাটের সাথে জড়িত না। 

@bagerhat24.com