Logo
table-post
ভান্ডারিয়ায় মুঠোফোনে স্বাস্থ্য পরামর্শ লোকে জানে না,সেবাও পায় না
01/01/1970 12:00:00

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতাঃ

 মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌছে দিতে দুই যুগ আগে সারা দেশের মতো ভান্ডারিয়া উপজেলায় মুঠোফোনে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু এ সেবা সম্পর্কে মানুষের ধারণা না থাকায় তা কোন কাজে  আসছে না। কোন রকম প্রচার-প্রচারণা না থাকায় উপজেলা সদর তো বটেই, দুর্গম চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত গ্রামীণ  জনসাধারণের কাছে এই সেবা কার্যক্রমটি এখনো  অজানাই  রয়ে গেছে।

 জানা গেছে, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে সরকার দেশের ৪১৮টি জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুঠোফোনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করেছিলেন। জরুরি চিকিৎসা সেবা  নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাসপাতাল ও কমপ্লেক্সে একটি করে মুঠোফোন দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী একজন মেডিকেল কর্মকর্তার রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা ওই মুঠোফোনের মাধ্যমে জনগণকে জরুরি চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেওয়ার  কথা। ফোন নম্বরটি জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন ও প্রচারের সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, শিক্ষকাপ্রতিষ্ঠাসহ  বিভিন্ন মাধ্যমে জনগনকে নম্বরটি জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রচার  বা প্রদর্শনে উদ্যোগী না হওয়ায় মুঠোফোনে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম কার্যকর হয়নি। জনস্বাস্থ্যসেবা নয়, মূলত ফোনটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ যোগযোগের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে  অভিযোগ  পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে মুঠোফোনটি দেওয়া হয়েছে সেটির নম্বর ০১৭৩০৩২৪৪৩১। নিয়মনুযায়ী মুঠোফোনটি চব্বিশ ঘন্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে থাকার কথা এবং সেখান থেকেই  চিকিৎসাকের মাধ্যমে চিকিৎসা ও পরামর্ম দেওয়ার কথা। 

সরেজমিনে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগেরই এ ধরনের  সেবা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।

 ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার জোমাদ্দার বলেন, আমি বর্তমানে পৌর সভার নাগরিক হয়েও মোবাইল ফোনের এই চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে জানি না। সেখানে আমার পৌর সভার সাধারণ মানুষ  জানবে কী করে? এই সেবা সম্পর্কে কোনো রকম প্রচার না থাকার কারণেই এমন অবস্থা হয়েছে।  তবে প্রচার অভিযান বৃদ্ধি  করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

এব্যাপারে ভান্ডারিয়ার উপজেলার বেশ কয়েকজন সচেতন মানুষের সাথে সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান মুঠোফোনে চিকিৎসা দেয়ার কথা শুনেছি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । তবে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে সেবার জন্য যে মুঠোফোন দিয়েছে  তা আমাদের জানা নেই।

 ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. বনালী দেব নাথ বলেন  মোবাইল ফোনের  মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত থাকলেও চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য কাউকে খুব একটা ফোন করতে দেখি না। তবে  জরুরী বিভাগে ফোন করলে  সেবা পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

@bagerhat24.com