Logo
table-post
আদালতে যাওয়ার পথে মামলার বাদীকে মারধর, কাগজপত্র ও স্বর্নালংকার ছিনতাই
01/01/1970 12:00:00

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোরেলগঞ্জে আদালতে যাওয়ার পথে মামলার বাদীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনকি মঞ্জিলা বেগম (৪৫) নামের ওই নারীর কাছে থাকা জমির দলিলসহ বেশকিছু মূল্যবান কাগজপত্রও ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রেখেছেন হামলাকারীরা। পরে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করেছেন। রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের দক্ষিনগাজীর ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত মঞ্জিলা বেগম বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাত, পা এবং মেরুদন্ডের কয়েকটি হাড় ভেঙ্গে গেছে।


মঞ্জিলা বেগম দক্ষিনগাজীর ঘাট এলাকার মুজিবুর রহমান জমাদ্দারের স্ত্রী।
মঞ্জিলা বেগম বলেন, পাশ্ববর্তী হাসান মাতুব্বরদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমিজমা নিয়ে মামলা চলছে। রবিবার সকালে মামলার তারিখের জন্য আদালতে যাচ্ছিলাম। হাসান মাতুব্বরের বাড়ির সামনে পৌছালে হাসান মাতুব্বর, তার ছেলে জাকারিয়া মাতুব্বর, মন্নাপ মাতুব্বরসহ ৭জন আমাকে অতর্কিত মারধর করে। পিটিয়ে আমার হাত, পা ও মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে হাসান মাতুব্বরের ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। পরে আমার স্বামী ও মেয়েকে পুলিশকে জানালে দৈবজ্ঞহাটি পুলিশ ফারির দুই সদস্য এসে আমাকে হাসান মাতুব্বরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।


মঞ্জিলার মেয়ে মাহফুজা আক্তার বলেন, আমার মাকে যেভাবে মেরেছে এভাবে মানুষ মানুষকে মারে না। মা‘র অবস্থা খুব খারাপ। যারা হামলা করেছে, আমরা তাদের কঠিন বিচার চাই।


এ বিষয়ে হাসান মাতুব্বর বলেন, মুঞ্জিলা আমাদের মারধর করতে এবং ঘর লুট করতে এসেছিল। তাই তাকে মেরে ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছিল। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে কথা চলছে বলেও জানান তিনি।


মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থলে ফারি পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আহত নারী  চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। আর জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো আদালতে সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।

 

@bagerhat24.com