ফকিরহাটে মসজিদের জায়গা দখলে নিতে মামলার প্রতিবাদে মুসল্লীদের বিক্ষোভ মিছিল
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা বটতলা জামে মসজিদের জমি দখলে নিতে আদালতে মামলা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুসল্লীরা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জুমআর নামাজের পরে সহস্রাধিক মুসল্লী ও এলাকাবাসী ফলতিতা মৎস্য আড়তের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুল আউয়াল, খতিব মুফতি দেলোয়ার ইউসুফ, বিএনপি নেতা শেখ ইফতেখার আহমেদ পলাশ, অধ্যাপক মোবাশ্বের হোসেন, কাজী মইনুদ্দিন মেরু, সুমন মীর, সৈয়দ অলিউল আলম, সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৯ সালে রুমানা খন্দকার নামের এক ব্যক্তি ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ এলাকায় ফলতিতা বটতলা জামে মসজিদের নামে ৩৩ শতক জমি দলিল করে দেন।কিন্তু ২০০১ সালে খুলনা-মাওয়া মহাসড়ক নির্মানের সময় মসজিদের ২৩ শতক জমি অধিস্রহন করা হয়। পরে সরকারি জমিতে মসজিদ নির্মান করে নামাজ আদায় করা হত। আর মসজিদের ১০ শতাংশ জমি মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম পাপলুর জমির পাশে হওয়ায় সে ভোগ দখল করতেন। স্থানীয়দের তিনি বোঝাতেন মসজিদের সকল জমি অধিগ্রহন হয়েছে। পরে ২০২২ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মসজিদের জমি বুঝে নেই এবং নামজারি করানো হয়। গেল ১১ অক্টোবর প্রথম ওই মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করা হয়েছে। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম পাপলু এখনও অবৈধভাবে মসজিদের জমি ভোগ দখল করার জন্য আদালতে মামলা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি পাপলুর শাস্তি দাবি করেন মুসল্লীরা।
এবিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম পাপলু বলেন, এই জমি আমার, জমির স্বপক্ষের আমার রেকর্ড ও দলিল রয়েছে। আমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সহ মসজিদ কমিটিকে বিবাদী করেছি। আদালত যে রায় দিবে আমি মেনে নিব। মসজিদ নির্মান এবং নামাজ আদায়ে কোন বাঁধা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।