কচুয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (২৭) এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।পূর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মঘিয়া এলাকার আজিজুল শেখের বাড়িতে ওএমএস‘র চাল দেওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামকে প্রথমে বাগেরহাট জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে।
আহত মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম মঘিয়া ইউনিয়নের সম্মানকাঠি গ্রামের আনসার আলী শেখের ছেলে। রিয়াজ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শবৎকাঠি এলাকার গফফার শেখের ছেলে ছাত্রদল নেতা নাদিম ও নাহিদের সাথে মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এই শত্রুতার জেরে দুপুরের দিকে আজিজুল শেখে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে নাদিম, নাহিদ, জয়, পলাশ, রাসেল,রাজিবসহ অন্তত ৭-৮জন মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামকে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। রিয়াজুলের দুই হাত ও দুই পায়ে অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে।মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হামলাকারীদের মধ্যে জয়, পলাশ, রাজিব ও রাসেলের বাড়ি একই উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায়। তারা নাদিম ও নাহিদের নিকট আত্মীয় হন। এরা সবাই কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রবের ভাইপো-ভাগ্নে এবং রাজনৈতিক কর্মী।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে নাদিম ও নাহিদের ফোনও বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রবকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, নাদিম ও নাহিদ আওয়ামী লীগের ক্যাডার ছিলেন। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সরর্কা পরিবর্তন হওয়ার পরে মামা বিএনপি নেতা আব্দুর রবের ক্ষমতায় এলাকায় চুরি, ডাকাতি, স্থানীয়দের মারধর ও চাঁদাবাজী করে বেড়াচ্ছেন। জয়, রাসেল ও পলাশও একই ধরণের অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং লোকজনকে কুপিয়ে জখম করা তাদের নিত্য নৈমত্তিক কাজ। পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ মন্ডল বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পরিবারের সদস্যরা আহতের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। তারা এখনও থানায় কিছু জানাননি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।