চিতলমারীতে সাংবাদিকের পরিবারকে গুলি করে মারার হুমকি
01/01/1970 12:00:00নিজস্ব প্রতিবেদক
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কপিল ঘোষ ও তার পরিবারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দলিল লেখক শিপন মুন্সীর বিরুদ্ধে। কপিল ঘোষের বসতবাড়িতে গিয়ে তারা এই হুমকি দেন। এ ঘটনায় রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সাংবাদিক কপিল ঘোষ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কপিল ঘোষ দৈনিক কালের কন্ঠের চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার (১৩ অক্টোবর, ২০২৪) দুপুর আড়াইটার দিকে শিপন মুন্সীর নেতৃত্বে কিছু যুবক সাংবাদিক কপিল ঘোষের বাড়িতে যায়। তারা কপিলকে খুঁজতে থাকে। কপিলের স্ত্রী, সন্তান বসতঘরের বাইরে এসে বাড়ির মধ্যে তাদের আসার কারণ জানতে চায়। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা শিপন মুন্সী বলেন, ‘এখানে থাকতে হলে চুপচাপ থাকবি। তা না হলে আমরা চাইলে তিন মিনিটের মধ্যে গুলি করে মেরে তোদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিতে পারি। তারপর জায়গাজমি দখলে নেবো।’ এই হুমকি প্রদানকালে বিএনপি নেতা শিপন মুন্সীর সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল হোসেন খানের ছোট ভাই চিতলমারী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম রবি খানও ছিলেন।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকেও যুবলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম রবি সাংবাদিক কপিল ঘোষকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। তখন বিষয়টি তখন বাগেরহাট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে আলোচিত হয়। ফলে দীর্ঘদিন তারা নীরব ছিল। সম্প্রতি তারা আবারো সরব হয়েছে।
সাংবাদিক কপিল ঘোষ বলেন, আমার বড় ভাই আশিষ ঘোষের সাথে আমাদের জমি-জমা নিয়ে মামলা রয়েছে। শিপন মুন্সী আমার বড় ভাইয়ের পক্ষ হয়ে ওই জমি দখল করতে চায়। এজন্য সে আগেও একবার আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছি। এখন আমাকে পরিবারসহ মেরে ফেলে ওই জমি দখলের হুমকি দিয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হুমকিদাতাদের বিচার দাবি করেন এই সংবাদকর্মী।
হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে বিএনপি নেতা শিপন মুন্সী বলেন, সাংবাদিক কপিল ঘোষের সাথে তার (কপিলের) বড় ভাই আশিষ ঘোষের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এই সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্ব (পাওয়ার নামা) দিয়ে আশিষ ঘোষ এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। সেই জায়গার গাছ কাটতে আশিষ ঘোষের পক্ষ হয়ে আমরা বাধা দিয়েছি।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার রায় বলেন, কপিলের সাথে শিপন মুন্সির জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ রয়েছে। কপিলের অভিযোগ পেয়েছি। একজন কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।