Logo
table-post
অনুমতি না পাওয়ায় মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারীদের সমাবেশ পন্ড
01/01/1970 12:00:00

মোংলা প্রতিনিধি

প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের পরিচালনা নিয়ে দুই গ্রুপের ডাকা সমাবেশ পন্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় একই স্থানে সমাবেশ ডাকেন রাজনৈনিক দল জামায়াত ও বিএনপি সমর্থীত শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা। 

মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারীদের পরিচালনা ও নেতৃত্ব প্রদানের বিষয় শ্রমিকদের নিয়ে প্রথম সমাবেশ ডাকেন জামায়াত সমর্থীত নেতৃবৃন্দরা। পরে বিএনপি সমর্থীত নেতৃবৃন্দরাও একই স্থলে সমাবেশ ডাকেন৷ এনিয়ে উভয় গ্রুপের লোকজন বুধবার রাতে প্রচারণার মাইকিং করা হলে পুরো শহর ঝুড়ে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পরে৷ ঘটনার বিষয় নিয়ে টনোক নড়ে প্রশাসনেরও। সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জমায়েত হয় নৌবাহিনী, পুলিশ ও বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের কয়েকটি টিম। পরে শ্রমিক সংঘ চত্তরে একই স্থানে দুই পক্ষই সমাবেশ করার চেষ্টা করলে উপস্থিত প্রশাসনের তৎপড়তায় সমাবেশ করার জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি দেখতে চাওয়া কোন পক্ষই তা দেখাতে পারেনী। পরে উভয় পক্ষ সমাবেশস্থল থেকে লোকজন নিয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়৷ 

শ্রমিক সংঘ চত্তরে সমাবেশ ডাকা নেতৃবৃন্দের মধ্যে জামায়াত নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো: ইউনুস জানায়, দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত আ'লীগ সরকার সমর্থীত কিছু নেতৃবৃন্দদের দখলেছিল মোংলা বন্দর কর্মচারী সংঘটি। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর তারা সকলেই পালিয়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারীরা অভিভাবকহীন হয়ে পরে। বন্দরে অবস্থারত বানিজ্যিক জাহাজের সাথে সংশ্লিষ্ট অসহায় শ্রমিক কর্মচারীদের ভাগ্যের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পরে। মালিকদের শাসন ও শোসন সয্য করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার নিয়ে বাঁচতে হতো তাদের। তাই এসকল শ্রমিকদের পক্ষে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের দাবী নিয়ে কাজ শুরু করলেই বভনের মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেয় একটি মহল। কিন্ত সে বিষয় শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ সমাবেশ ডাকায় আরো একটি পক্ষ সেখানে সমাবেশ ডাকায় তা বন্ধ হয়ে যায়৷ 

অপর পক্ষের সাবেক পৌর কাউন্সিলর বিএনপি কেতা মো: আলাউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দিন শ্রমিক সংঘটির নেতৃত্বহীনতায় রয়েছিল। তাই ৩ অক্টোবর সকাল ১০ ঘটিকায় সমাবেশ ডাকা হয়েছিল কিন্ত প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ করা হয়নী।তবে সাধারণ শ্রমবকরা জানায়, শ্রমিকের নেতৃত্ব নিয়ে রাজনৈতিক দল জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত শ্রমিক কর্মচারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। ধারনা করা হচ্ছে একটি পক্ষ পুর্বের শাসকদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে বলে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করেন নেতৃবৃন্দরা। তবে পরবর্তীতে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সমাবেশ করবে বলে জানান দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা।

@bagerhat24.com