ইন্দোনেশিয়া থেকে সুপারি আমদানির নামে কোটি টাকা হাতিয়ে জেলে আবু বকর সিদ্দিক
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
কথিত ব্যবসায়ী পরিচয়ে প্রতারণার চক্র গড়ে তোলা আবু বকর সিদ্দিককে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ইন্দোনেশিয়া থেকে উন্নত জাতের সুপারি আমদানির নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা অর্থ আত্মসাৎ মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর হয়।
ঘটনার সূত্রপাত বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মুস্তাকিম বিল্লাহ’র সঙ্গে ব্যবসায়িক সমঝোতা থেকে। এলসি খুলে সুপারি আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি টাকা নেন আবু বকর। পরে চলতি বছরের ১৭ আগস্ট আমদানিকৃত পণ্য মংলা বন্দরে পৌঁছালে ভিন্ন রূপ নেন তিনি।
সুপরি পাওয়ার পর তা আদনান নামের আরেক ব্যক্তিকে নগদ ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়ে মালামালও বুঝিয়ে দেন। এতে হতবাক হয়ে পড়েন প্রকৃত আমদানিকারক মুস্তাকিম।
স্থানীয়ভাবে সালিশে সমাধানের উদ্যোগ নিলেও প্রতারক সিদ্দিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। বরং ২৫ আগস্ট মুস্তাকিমসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে উল্টো ডাকাতি মামলা দায়ের করে পরিস্থিতি জটিল করে তোলেন। এমনকি মুস্তাকিমের বাবার মালিকানাধীন স্থানীয় সুপারিকেও ইন্দোনেশিয়ায় আমদানিকৃত বলে চালিয়ে মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করান।
মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজের মালিক সিদ্দিকের এই কর্মকাণ্ড আদালত “প্রাথমিকভাবে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের স্পষ্ট ইঙ্গিত” হিসেবে উল্লেখ করেন। তার দায়ের করা ডাকাতি মামলায় অভিযুক্তরা এখন জামিনে।
আইনজীবী শেখ মো. কামরুল হাসান বলেন,
“এই ঘটনা ব্যবসায়িক আস্থার ওপর মারাত্মক আঘাত। পরিকল্পিতভাবে একাধিক পক্ষকে প্রতারণার শিকার করা হয়েছে। আদালতের এই ব্যবস্থা ন্যায়বিচারের সঠিক প্রতিফলন।”
২৮ অক্টোবর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত চলছে।
