Logo
table-post
পাঠদান বন্ধ, হামলার প্রতিবাদ ও বিশ শতাংশ  বাড়ি ভাড়ার দাবীতে ফকিরহাটে কর্মবিরতি
01/01/1970 12:00:00

ফকিরহাট প্রতিনিধি
সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাটের ফকিরহাটে এমপিওভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলছে কর্মবিরতি। শিক্ষকদের বৈষম্যবিরোধী অবস্থান কর্মসূচীতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া প্রজ্ঞাপনের দাবীতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই কর্মবিরতি।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ ছিল। শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। উপজেলার কাজি আজহার আলি কলেজ, ফকিরহাট কারামাতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, শিরিণ হক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সহ উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধীক এমপিওভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মবিরতি পালিত হয়। এসময় পাঠদান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে যায়।

আবার অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষক নিপিড়নের প্রতিবাদে শিক্ষকদের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। গত রোববার ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও হামলার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। ফকিরহাট কাজি আজহার আলি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাওলাদার মুজিবুর রহমান বলেন, “যে ইন্টারিম সরকার বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই সরকারের অধীনেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের রক্ত ঝরানো হয়েছে।

এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।”ফকিরহাট কারামাতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফকিরহাট শাখার সেক্রেটারী আবুল আলা মাসুম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে ভয়াবহ বৈষম্য চলছে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় বেতন-ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা ও অবসর ভাতায় বঞ্চিত। সরকারকে দ্রুত ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকার চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান। কর্মবিরতি চলাকালে সহকারী অধ্যাপক হাবিবা কুমকুম বলেন, “আমরা সরকারের শত্রু নই, আমরা জাতি গড়ার কারিগর। কিন্তু বারবার অবমূল্যায়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।

এবার আর পিছু হটব না। ”শিক্ষকদের সংগঠন ঘোষিত তিন দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারা জানান, দ্রুত দাবি পূরণ না হলে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একত্রিত হবেন। শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

@bagerhat24.com