
মোংলায় মধ্যরাতে রক্তাক্ত হামলা: যুবককে পিটিয়ে জখম, স্ত্রীও রেহাই পাননি
01/01/1970 12:00:00মাসুদ রানা,মোংলা
মোংলায় এক যুবককে কাঠের লাঠি ( বাটাম) দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় সাথে থাকা তার স্ত্রীও আহত হয়েছে।
সোমবার (১৩) অক্টোবর সকাল সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের কবরস্থান রোড শ্রমিক সংঘ সংলগ্ন মেইন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই সন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান।
পুলিশ ও ভুক্তভোগির স্বজনরা জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে মটরসাইকেল ও ইজিবাইক ওভারটেক নিয়ে দুইজনের সাথে কথা কাটাকটী হয়। তারই জের হিসেবে এঘটনার সুত্রপাত।
সোমবার ভোরে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মটরসাইকেল যোগে মোংলা ইপিজেড গামেন্টসে যাচ্ছিলেন উপজেলার মিঠাখালী এলাকার মহিদুল শেখ (৩২)। সকাল সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের কবরস্থান রোড শ্রমিক সংঘ এলাকায় পৌছালে পিছন থেকে এসে গাড়ীর গতি রোধ করে বনি আমিন ও মাহমুদ নামের দুই যুবক । কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ী থেকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে পিছন থেকে মাতার উপরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মহিদুলকে। এসময় মহিদুল গাড়ী থেকে মাটিতে লুটিয়ে পরে। তার স্ত্রী স্বামী মহিদুলের প্রান বাচাঁেত গেলে তাকেও মেরে আহত করে ওই সকল সন্ত্রাসীরা। আহত মহিদুল মোংলা উপজেলার মিঠাখালীর সোনাখালী এলাকার হান্নান শেখের ছেলে। মহিদুলের সাথে সন্ত্রাসীদের মাহমুদ ও বনি আমিনের পুর্ব শত্রুতা চলছিল বলে জানায় এলাকাবাসী।
পরে স্থানীয়রা মহিদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখাণে অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় মোংলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানেও তার অবস্থা আসংঙ্কা জনক বলে জানায় মহিদুলের স্বজনরা।
অপরদিকে, ওই দুই সন্ত্রাসীকে আটকের পর গনধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় জনতা। পরে মোংলা থানা পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় মহিদুলের বড় ভাই বুল বুল শেখ। আটক দুই সন্ত্রাসী হেমায়েত শেখ’র ছেলে বনি আমিন ও মজিবুর রহমান হাওলাদার ছেলে মাহমুদ হাওলাদার। তাদতের বাড়ি সুন্দরবন ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকায় বলে জানা গেছে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মৌসুমী ইয়াসমীন বলেন, সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় মহিদুল শেখ নামের একজনকে হাসপাতালে আনা হলে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া গেছে এবং প্রচুর রক্ক খড়ন হচ্ছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, কবরস্থান রোড এলাকায় একজনকে মেরে আহতের খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জনতার সহায়তায় এর সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে, মামলা শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানায় তিনি।