
রামপালে ভুয়া ডাক্তার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ, ভুল ওষুধ ও অপারেশনে বিপদে রোগীরা
01/01/1970 12:00:00এম, এ সবুর রানা,রামপাল
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গিলাতলা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে এমবিবিএস সনদবিহীন এক ব্যক্তি ‘ডাক্তার’ নামের আড়ালে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। পরিচয় দিচ্ছেন উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে, কিন্তু নিজের চেম্বারে সাইনবোর্ডে নামের আগে ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করছেন।
তিনি সাধারণ জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে জটিল রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন। বিশেষত উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন ও অপারেশনের মাধ্যমে রোগীদের বিপন্ন করছেন। হাঁড় ভাঙ্গা, বাতব্যথা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের সমস্যা, নবজাতক ও শিশুদের সমস্যা এমনকি টিউমার ও ফোঁড়া চিকিৎসা করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সাধারণ রোগীদের সরকারি হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও ভুয়া ডাক্তাররা তা মানছেন না। এতে রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে, অ্যান্টিবায়োটিকের অযথাযথ ব্যবহার রোগকে জটিল থেকে জটিলতর করছে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসক সংকট ও সচেতনতার অভাবে গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। ভুল চিকিৎসা, অপারেশন ও অতিরিক্ত ওষুধের কারণে রোগীরা অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিতে পড়ছেন।
কথিত ডাক্তার ফরহাদ হোসেন দাবি করেছেন, তিনি বিএমডিসি সনদপ্রাপ্ত, তাই নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখেছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল জানিয়েছেন, বিএমডিসি আইন অনুযায়ী এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করতে পারবে না। স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে সাধারণ মানুষ ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসা থেকে রক্ষা পেত।