
সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন হত্যার রহস্য উদঘাটন: আশুলিয়া হোটেল থেকে ধরা পড়ল দুই খুনি!
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাট জেলায় সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যার পেছনের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে। রাজধানীর আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই যুবক। গোয়েন্দা পুলিশের সুনির্দিষ্ট তথ্য ও সফল অভিযানে উঠে এসেছে এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কাহিনি।
হায়াত উদ্দিন ছিলেন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালি এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক। পাশাপাশি তিনি বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদের প্রার্থী ছিলেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাড়িখালি এলাকায় ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায়, তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী এসে হায়াত উদ্দিনকে ঘিরে ফেলে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর নিহতের মা হাসিনা বেগম বাগেরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে মো. ইসরাইল মোল্লার নাম উল্লেখ করা হয়, এছাড়া আরও ছয়জনের নাম এবং ১০-১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষ দল রাজধানীর আশুলিয়া থানার পল্লি বিদ্যুৎ এলাকার “নিউ গোল্ডেন সিটি” আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলার ১১৮ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন—
১. মোঃ ওমর ফারুক ইমন হাওলাদার (২৫),
২. মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিক (২৫)।
দুজনই বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাটি এলাকার বাসিন্দা।
তাদের বাগেরহাট সদর মডেল থানার হত্যা মামলায় (মামলা নং-০২, তারিখ-০৬/১০/২০২৫) আদালতে সোপর্দ করা হলে, তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সেই জবানবন্দিতে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও কারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল।
এই দ্রুত ও সফল অভিযানে বাগেরহাটবাসীর মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা ও প্রশংসা বেড়ে গেছে। জেলা ডিবি পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপে সমাজে ফিরে এসেছে আইনের প্রতি আস্থার বার্তা।