Logo
table-post
বাগেরহাটে চাঞ্চল্য: সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, উত্তপ্ত এলাকা
01/01/1970 12:00:00

স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাট সদর উপজেলার হাড়িখালী গ্রামে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে নিহত হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক মো. হায়াত উদ্দিন (৪০)। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাড়িখালীর সিদ্দিকের চায়ের দোকানের সামনে এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

নিহত হায়াত উদ্দিন স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক ভোরের চেতনা-এর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন এবং তিনি গেল পৌর বিএনপির সম্মেলনে  সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে হায়াত উদ্দিন যখন চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান করছিলেন, তখন ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা হামলাকারী দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্থানীয়রা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এক বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে হায়াত উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে সেই নেতার নাম জড়িয়ে পুরনো একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেটিই এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কারণ হতে পারে।

বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ-উল-হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

এদিকে নিহত সাংবাদিকের পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

@bagerhat24.com