
বৈরি আবহাওয়ায় খালি হাতে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা, বড় ট্রলার মালিকদের লাখ টাকার ক্ষতি
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল দমকা হাওয়ার মুখে পড়ে উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগে শেষবারের মতো মাছ ধরতে সাগরে গিয়েছিলেন তারা। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশই খালি ট্রলার নিয়ে ফিরে এসেছেন ঘাটে।
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সাগরে যাওয়া ট্রলারগুলো বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে একে একে ফিরে আসতে শুরু করে। সাগরে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় জেলেদের দ্রুত জাল গুটিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হতে হয়।
শরণখোলার জেলে আবদুল খালেক বলেন, “সপ্তাহখানেক আগে আমরা সাগরে যাই। প্রথমদিকে জাল ফেললেও বুধবার থেকে সাগর খুব খারাপ হয়ে যায়। কিছুই পাইনি, খালি হাতে ফিরে এসেছি।”
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. কবির হাওলাদার বলেন, “বড় ট্রলারগুলো এবার বড় ক্ষতিতে পড়েছে। প্রতিটি ট্রলারে গড়ে ২-২.৫ লাখ টাকা খরচ হলেও মাছ হয়নি বললেই চলে। যেসব ট্রলার ফিরে এসেছে, তাদের অধিকাংশের জালে কিছুই উঠেনি।”
শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, “এ বছর ইলিশ এমনিতেই কম পাওয়া গেছে। শেষ ট্রিপে কিছুটা ঘাটতি মেটানোর আশায় সাগরে গিয়েছিল ট্রলারগুলো। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেই আশা ভেঙে গেছে।”
শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, সংরক্ষণ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”
এদিকে শেষ মুহূর্তে মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেরা মৌসুমজুড়ে লোকসানের আশঙ্কায় দিন গুনছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরি আবহাওয়া ও সরকারি নিষেধাজ্ঞার চাপে জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তা।