Logo
table-post
ফকিরহাটে সরকারী নদী-খালে জাল-পাটা ও ভেশাল দিয়ে মাছ ধরায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি
01/01/1970 12:00:00

পি কে অলোক,ফকিরহাট
বাগেরহাটের ফকিরহাটে অর্ধশতাধিক সরকারী নদী-খালে জাল-পাটা ও ভেশাল দিয়ে মাছ ধারায় পানি প্রবাহে চরম প্রতিবন্ধিকতার সৃষ্টি হচ্ছে। যে করনে প্রবল বর্ষনে উপরে জমা থাকা বিপুল পরিমানে পানি নিচেই সরবরাহ হতে পারছে না। আর না পারায় শতশত মৎস্য ঘের পুকুর পানের বরজ ও ঘেরের পাড়ে রোপনকৃত সবজি সহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে কৃষককুলে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন  হচ্ছে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করে সকল সরকারী নদী-খালের জাল-পাটা ভেশাল সহ সকল ধরনের মাছ ধরার উপকরণ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দ্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এক ধরনের অসাধু মৎস্য শিকারী প্রশাসনের সে নির্দ্দেশ অমান্য করে জাল-পাটা ও ভেশাল না উঠিয়ে তা পেতে রেখেছেন। যে করনে উপরে জমে থাকা পানি নিচেই সরবরাহ হতে না পারায় বন্যার অশাংকা করছেন অনেকে। 
জানা গেছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষনে নিন্মাঞ্চলে পানি জমে শতশত মৎস্য ঘের পানের বরজ পুকুর ও ফসলি জমির ধান ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে হাজার হাজার কৃষকের ব্যপক ক্ষতি হয়। আর এই ক্ষতির মুল কারন সরকারী নদী-খাল দিয়ে ঠিকমত পানি সরবরাহ হতে না পারা। স্থানীয় এলাকাবাসি ও বিভিন্ন সুত্রে থেকে জানা গেছে, উপজেলার অর্ধশতাধিক সরকারী নদী-খালে মাছ ধারায় জন্য বেশ কিছু অসাধু মৎস্য শিকারী জাল-পাটা ও ভেশাল ফেলে মাছ ধারার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আর এই মাছ ধরার কারনে উপরে জমে থাকা বিপুল পারিমানে পানি নিচেই সরবরাহ হতে পারছে না। মৎস্য শিকারীরা এমন ভাবে নদী-খালে নেট জাল-পাটা ও ভেশাল ফেলে রেখেছে যে তা ভেদ করে উপরে জমে থাকা পানি কোন ক্রমেই নিচেই সরবরাহ হওয়া সম্ভব নয়। তারা পাড়ের দু’মাথায় নেট জাল-পাটা ও মাঝখানে ভেশাল ফেলে পানি প্রবাহের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, নেট ও বেবধী জালও ফেলে সম্পূর্ণ নদী-খালকে আটকিয়ে ফেলেছেন। নদী-খালের কোন কোন স্থানে ২০-২২ হাত অন্তর অন্তর জাল-পাটা ও ভেশাল পাতা হয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, বেতাগা ইউনিয়নের ধনপোতা-মাসকাটা বিঘা ও চাকুলী খাল, লখপুর ইউনিয়রে যুগীখালী ৬গেট, ১০ গেট ও মিনেদার খাল,  শুভদিয়া ইউনিয়নের ভাংগনপাড় নদী, তেকাটিয়া খাল ও গৌরম্ভা খাল। বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গাবখালী লালচন্দ্রপুর ও হুচলার মধ্যদিয়ে যে খালটি যুগীখালী নদীতে গিয়ে মিশেছে। তাছাড়াও মুলঘর, নলধা-মৌভোগ ও ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান বেশ কয়েকটি নদী-খালে একই ভাবে নেট জাল-পাটা ও ভেশাল ফেলে মাছ ধরা হচ্ছে। ##

@bagerhat24.com