
বাগেরহাটে চার আসন ফেরতের দাবিতে টানা ৭ দিন বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ নির্বাচন অফিস
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো রাস্তায় নেমেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসতে শুরু করে, এবং তা জমায়েত হয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে।
আন্দোলনকারীরা নির্বাচন ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে রাখে, যাতে ভেতরে কেউ ঢুকতে না পারে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি চলছে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার আন্দোলনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, তবে বিকেলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
🏛️ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বাগেরহাটবাসী
চারটি আসন বহালের দাবিতে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে তিনটি রিট আবেদন করা হয়েছে বাগেরহাটের পক্ষ থেকে। আদালত ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ দিনের রুল জারি করেছেন।
👥 কে কে ছিলেন উপস্থিত?
সকালের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, এবং রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজলসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।
📜 পটভূমি ও আসন পুনর্বিন্যাস
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন একটি খসড়া গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে তিনটি আসন রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিক্ষোভে নেমে পড়ে।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রাখা হয়। এই সিদ্ধান্তকে ‘জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে’ উল্লেখ করে সর্বদলীয় কমিটি।
📌 পুরনো বনাম নতুন আসন বিন্যাস
বর্তমান (নতুন) আসন বিন্যাস:
-
বাগেরহাট-১: সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট
-
বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা
-
বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
পূর্বের (পুরনো) আসন বিন্যাস:
-
বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট
-
বাগেরহাট-২: সদর, কচুয়া
-
বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা
-
বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
🗣️ সর্বদলীয় কমিটির অভিযোগ
নেতাকর্মীদের ভাষ্য মতে, নির্বাচন কমিশন গণশুনানির পরেও জনগণের দাবিকে আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে গেজেট প্রকাশ করেছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।