
শরণখোলায় ইলিশ প্রকল্পে অনিয়ম! তথ্য চেয়ে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার
01/01/1970 12:00:00মেহেদী হাসান, শরণখোলা
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা মৎস্য অফিসে ইলিশ প্রকল্পসহ নানা সরকারি কার্যক্রমে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের হয়রানি ও তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, তথ্য জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বারবার সময় ক্ষেপণ করেন এবং শেষপর্যন্ত কোনো তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
তাঁর একাধিক মন্তব্য হতাশাজনক। কখনো বলেন, "সব কাগজ হেড অফিসে", আবার কখনো বলেন, "তথ্য দিয়ে কী হবে?" এমনকি, “আগামী মাসে আসেন” বলে দায়িত্ব এড়াতে দেখা যায় তাঁকে।
জেলেদের অভিযোগ, অফিস অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। সেবা পাওয়ার আশায় গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সরকারের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৮টি গরু বিতরণ করা হলেও, প্রকৃত উপকারভোগীদের অনেকেই তা পাননি। বিতরণে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন কাজী জানান, “বিভিন্ন অনুদান প্রকল্পে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।”
জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি দুলাল ফরাজী আরও অভিযোগ করেন, “এই অফিস এখন দালালদের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের বাদ দিয়ে আওয়ামীপন্থী কিছু সুবিধাভোগীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”