
মোংলায় সরকারি ঘর দখলের প্রতিবাদে নারীর ওপর বর্বর হামলা, চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা!
01/01/1970 12:00:00মোংলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোংলায় সরকারি ঘর দখলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন এক অসহায় নারী ও তার বড় বোন। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ওই নারী বর্তমানে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মোংলার নারিকেলতলা পাকখালী এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে কাকলী বেগম নামে এক নারীকে একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিছুদিন বসবাস করার পর, তার একমাত্র ছেলের হাত ভেঙে যাওয়ায় তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে যান। ফিরে এসে দেখেন, তার অনুপস্থিতিতে ঘরটি দখল করে নিয়েছে শহিদুল ইসলাম, খুসি বেগম, আম্বিয়া বেগমসহ আরও কয়েকজন।
ঘরটি ফেরত চাওয়ায় কাকলী বেগম নানাভাবে হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হন। তার পরিবার কিংবা স্বজন কেউ না থাকায় তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশের চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি।
অবশেষে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বড় বোন মর্জিনা বেগমকে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দপ্তরে অভিযোগ জানাতে গেলে অফিসের সামনেই প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর চলে নির্মম মারধর। হামলাকারীদের একজন মর্জিনা বেগমের ডান চোখে আঙুল ঢুকিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা দুই বোনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় শহিদুল ইসলাম, খুসি বেগম, আম্বিয়া বেগমসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, “উপজেলা পরিষদের সামনে সংঘটিত মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘর দখলের বিষয়টি সত্য হলে, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, অসহায় নারীদের নিরাপত্তা ও বরাদ্দ পাওয়া ঘরের দখল নিশ্চিত করতে প্রশাসন যেন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে।