
রামপালে জমি আত্মসাতের অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় জমি জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগে সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সগুনা গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার পাল, যিনি অভিযোগ করেছেন—তারই আপন বড় ভাই পুলক কুমার পাল প্রতারণার মাধ্যমে তার পৈতৃক জমি দখল করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সহকারী জজ আদালত (রামপাল) এ ২২১/২৫ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বলা হয়েছে, প্রশান্ত পালের পিতার রেখে যাওয়া মোট ১.২০ একর জমি ভুয়া দলিল তৈরি করে আত্মসাৎ করেন তার বড় ভাই পুলক কুমার পাল। জমিগুলো সগুনা ও পিত্তে মৌজার অন্তর্গত।
জমি হস্তান্তরের কাজে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে রামপালের তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার শাহাদাৎ হোসেন, ভাইপো আকাশ কুমার পাল, মহরার ইউসুফ আলী, হুমায়ুন কবির ও বলাই ঘরামির বিরুদ্ধে। এমনকি বাগেরহাট জেলা প্রশাসককেও বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
প্রশান্ত পাল দাবি করেন, তার জমির কাগজপত্র জাল করে কৌশলে দখল নেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে আরও উল্লেখ রয়েছে, তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফলে তিনি রামপাল থানায় লিখিতভাবে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে প্রধান বিবাদী পুলক কুমার পাল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার পিতা দানপত্র দলিলের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আমার ও আমার ছেলে আকাশের নামে জমি দিয়েছেন।”
মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। সাব-রেজিস্ট্রার শাহাদাৎ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ তার মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এই মামলা রামপাল ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে এমন দ্বন্দ্ব এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।