
কচুয়ায় ৪৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি জোরদার, এবার ব্যতিক্রম রঘুদত্তকাঠী আশ্রম
01/01/1970 12:00:00শুভংকর দাস বাচ্চু,কচুয়া
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। উপজেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে, পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জার তোড়জোড়।
চলতি বছর কচুয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে এ বছর রঘুদত্তকাঠী ভক্ত নিমাই সেবা আশ্রমে পূজার আয়োজন হচ্ছে না, যা স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা আক্ষেপের সঞ্চার করেছে।
পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার ‘বোধন’-এর মধ্য দিয়ে। এ উপলক্ষে প্রতিমাশিল্পীরা নিপুণ হাতে প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মণ্ডপগুলোকে আলোকসজ্জা ও শৈল্পিক কারুকার্যে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে।
সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী হাসান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ কুমার দাস, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম আহমেদ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সভায় মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সিসি ক্যামেরা চালু রাখা, পাহারাদার নিয়োগসহ অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা জানান, পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসান মাহামুদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আকবর হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার জাহিদ ও উপজেলা জামাতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শেখ মোঃ মামুনুর রশীদ।
উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পূজা অনুষ্ঠিত হবে বাধাল ইউনিয়নের মসনী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে। পাশাপাশি কচুয়া সদর দুর্গা মন্দির, ভান্ডারকোলা সার্বজনীন দুর্গামন্দির, সাইনবোর্ড বাজার দুর্গা মন্দিরসহ অন্যান্য মণ্ডপেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পূজা উদযাপন হবে।
প্রতি বছরের মতো এবারও কচুয়া উপজেলায় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন ও পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।