
চারটি আসন রক্ষার দাবিতে উত্তাল বাগেরহাট, ফের নতুন কর্মসূচি
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাগেরহাটে নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি একদিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। পরিবর্তে তারা নতুন কর্মসূচি হিসেবে গণস্বাক্ষর অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে এই ঘোষণা দেন কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের আন্দোলন থামাইনি, কেবল পদ্ধতির পরিবর্তন করেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে এবং এটি চলমান থাকবে।"
কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত নতুন সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার শুরু হবে গণস্বাক্ষর অভিযান, যা চলবে পরবর্তী দিনগুলোতেও। আবারও বুধবার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটিকে বাদ দিয়ে তিনটি আসনে রূপান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়।
বাগেরহাটবাসী চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নিলেও ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেটে তিনটি আসনই রাখা হয় এবং কিছু সীমানা পরিবর্তন করা হয়।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী:
-
বাগেরহাট-১: সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট
-
বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা
-
বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
অথচ পূর্বের বিভাজন অনুযায়ী ছিল:
-
বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট
-
বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর, কচুয়া
-
বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা
-
বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
এই আসন পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দল ও শ্রেণির মানুষ একত্রিত হয়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করেছে এবং ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।