পিরোজপুর থেকে চুরি করে আনা ৩০ লাখ টাকার ট্রলার মোংলা থেকে উদ্ধার
01/01/1970 12:00:00মোংলা প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে চুরি করে আনা ৩০ লাখ টাকার একটি ট্রলারের আংশিক উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোংরা পোর্ট পৌর শহরের ১ নম্বর জেটি সংলগ্ন এলাকা পারভেস এর ডক ইয়াডে কেটে টুকরো টুকরো করে করা অবস্থায় আংশিক উদ্ধার করতে পারলেও বাকিগুলো উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডক ইয়াডের মালিক পারভেস পালিয়ে যাওয়া তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নী। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ট্রলার মালিক মোঃ মনিরুজ্জামান, মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় মোংলা থানা পুলিশ।
থানায় দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর ভান্ডারিয়ার গৌরীপুর উত্তর পৈটখালী গ্রামের মনিরুজ্জামানের মালিকানাধীন ৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ইঞ্জিনচালিত একটি বড় ট্রলারটি চুরি হয়ে যায়। পরে অনেক খোজাখুজি করে জানতে পারে, ট্রলারটি মোংলার ১নং জেটি এলাকায় পারভেজের ডক ইয়ার্ড ওয়ার্কশপে নিয়ে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
এমন খবরে ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মনির হোসেন ও তাঁর ভগ্নীপতি নুরআলম তালুকদার মোংলায় এসে বিষয়টি খোঁজ নেন। তারা ১ নং জেটি এলাকায় গিয়ে দেখতে পান, ট্রলারটির কেটে কিছু অংশ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। ট্রলার মালিক মনির বলেন, “আমার ট্রলারটি এভাবে কেটে ফেলা দেখে মন খারাপ হয়েছে। আমার পরিবারের রুটি রুজির একটি মাত্র অবলম্বন ছিল এই ট্রলারটি। যা চালিয়ে বৃদ্ধ মা-বাবা ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার পরিচালনা করে আসছিলাম। উপার্জনের একমাত্র ট্রলারটি হারিয়ে ভেঙ্গে পরেছে পরিবারের সকলেই।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে মনির হোসেন আরো বলেন, থানার অভিযোগে ওয়ার্কশপ মালিক পারভেজ ও আলি আকবর সহ কয়েকনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও একই ডক ইয়ার্ডে আরো একটি ট্রলার কেটে বিক্রি করার অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। অন্যাত্র থেকে ট্রলার চুরি করে এনে মোংলায় বিক্রি করা এমন খবরে এলাকার মানুষের নিরাপত্তার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলেছে।
এ বিষয় অভিযুক্ত ওয়ার্কশপ মালিক পারভেজকে পাওয়া না গেলেও ওই ডক ইয়াডের শ্রমিকরা বলেন, মনির তালুকদার নামে এক ব্যক্তি নিজের ট্রলার বলে এনে কাটিং করে বিক্রি করেছে। এর বাহিরে আমরা আর কিছু জানি না।
মোংলা থানার ওসি মোঃ আনিসুর রহমান জানান, ট্রলার মালিককের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রলারের আংশিক কিছু মালামাল থানায় জব্দ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া ডক ইয়াডের মালিক পারভেসকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আটক করতে পারলেই আসল ঘটনা খুজে বের করা সহজ হবে।