Logo
table-post
বাগেরহাটে ৪টি আসন রক্ষার আন্দোলন সাময়িক স্থগিত, রোববার থেকে ফের ঘেরাও কর্মসূচি!
01/01/1970 12:00:00

স্টাফ রিপোর্টার

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন শুক্রবার ও শনিবার সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। তবে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও জোরালোভাবে ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক জরুরি সভায় কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম বলেন,

“সরকারি ছুটির কারণে নির্বাচন অফিসে কেউ থাকবেন না, তাই এই দু’দিনের জন্য আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে রোববার থেকে পুরোদমে আবার আন্দোলনে নামব।”

এছাড়া তিনি আগামী সপ্তাহে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের নতুন কর্মসূচির ঘোষণাও দেন।


✊ সকাল থেকেই উত্তাল ছিল জেলা নির্বাচন অফিস চত্বর

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে আসেন আন্দোলনকারীরা এবং দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন। অফিসের কর্মচারীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ঘেরাও চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য মো. বেলাল হোসেন অপু। তিনি জানান,

“এটা বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য দাবি। আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”


⚖️ উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ ও আন্দোলনের পটভূমি

সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি রিটের শুনানিতে জানতে চেয়েছেন, বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন যে তিনটি আসন রেখে গেজেট প্রকাশ করেছে, তা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের সময় দিয়েছেন আদালত।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন,

“আদালতের মাধ্যমে চারটি আসন পুনর্বহালের জন্য আইনি লড়াইও চলছে।”


🗳️ আসন পুনর্বিন্যাস ঘিরে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করে বাগেরহাটে চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করা হবে। বাগেরহাটবাসী এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে শুনানিতে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তারপরও ৪ সেপ্টেম্বর তিনটি আসন নিয়েই চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের চাওয়াকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মনে করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী আসন বিন্যাস হলো:

  • বাগেরহাট-১: সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট

  • বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা

  • বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

কিন্তু পূর্বে ৪টি আসনের মধ্যে বিন্যাস ছিল:

  • বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট

  • বাগেরহাট-২: সদর, কচুয়া

  • বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা

  • বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

নেতাকর্মীরা বলছেন,

“চারটি আসন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কোনোভাবেই তিনটি আসনে সীমাবদ্ধ করা চলবে না। দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”

@bagerhat24.com