Logo
table-post
দ্বিতীয় দিনের ঘেরাও: বাগেরহাটের চারটি আসন ফিরিয়ে না দিলে থামবে না আন্দোলন!
01/01/1970 12:00:00

স্টাফ রিপোর্টার

বাগেরহাটে সংসদীয় চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। প্রধান ফটক ঘিরে রাখায় কর্মকর্তাদের কেউই অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। এই কর্মসূচি চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

এদিকে, হাইকোর্ট বাগেরহাটের আসন সংকোচনের বিষয়ে রুল জারি করেছেন। আদালত জানতে চেয়েছেন, কেন বাগেরহাটের চারটি আসন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কেন নির্বাচন কমিশনের তিনটি আসনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে হরতাল স্থগিত থাকলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলন ও আইনি লড়াই দুটোই অব্যাহত থাকবে।

কমিটির সদস্য সচিব ও জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, “সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে আমরা হরতাল আপাতত স্থগিত করেছি। তবে ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছে, তাতে আমরা আশাবাদী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।”

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক খসড়ায় বাগেরহাটের চারটি আসনের একটি বাদ দিয়ে তিনটি আসন রাখার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই স্থানীয় জনগণ আন্দোলনে নামেন।

৪ সেপ্টেম্বর কমিশন চূড়ান্ত গেজেটে আসন সংখ্যা বহাল রাখেনি, শুধুমাত্র সীমানা পরিবর্তন করেছে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ ও সর্বদলীয় নেতারা কমিশনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তোলেন।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাটের আসনগুলো এখন:

  • বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট

  • বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা

  • বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

পুরাতন বিভাজনে ছিল:

  • বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট

  • বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর, কচুয়া

  • বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা

  • বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

দাবি উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ৪টি আসন হঠাৎ করে কমানো হলে স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে এবং জনগণের মতপ্রকাশে বাধা তৈরি হবে।

@bagerhat24.com