
বাগেরহাটে আসন পুনর্বহালের দাবিতে দুই দিনের হরতাল
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে জেলাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা সর্বদলীয় কমিটি। এতে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আগামী বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলায় সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের দশানী ট্রাফিক মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপি নেতা সৈয়দ নাসির উদ্দিন মালেক।
বক্তারা জানান, “বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করেছে। এটি জেলাবাসীকে বঞ্চিত করবে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আসন পুনর্বহালের দাবি জানাই।”
ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন, “নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়া নির্বাচন সীমানা নির্ধারণ আইন-২০০৯ এর ৬ ধারা পরিপন্থি। জনগণ এতে ক্ষুব্ধ। আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।” জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।”
নির্বাচন কমিশন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নতুন সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। ১৯৬৯ সাল থেকে জেলায় চারটি আসন ছিল।