Logo
table-post
শরণখোলায় সর্বাত্মক হরতালে স্থবির জনজীবন, বাগেরহাট-৪ আসন রক্ষায় উত্তাল আন্দোলন
01/01/1970 12:00:00

মেহেদী হাসান, শরণখোলা 
বাগেরহাট-৪ আসন বাতিলের প্রতিবাদে ফের সর্বদলীয় হরতাল ও অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে শরণখোলা উপজেলা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে থমকে গেছে এলাকার স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও পরিবহন ব্যবস্থা। বেশিরভাগ সরকারি দপ্তরে লোকজনের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে গাছের গুঁড়ি, বেঞ্চ ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে করে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় এলাকার দোকানপাট বন্ধ রেখে কর্মসূচিতে সমর্থন জানায় ব্যবসায়ীরা। ফলে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সর্বদলীয় কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর সারা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় এবং ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হচ্ছে। নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্থানীয় সর্বদলীয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এই অন্যায় সিদ্ধান্ত জনগণের স্পষ্ট প্রত্যাখ্যান। বাগেরহাট-৪ আসন আমাদের ন্যায্য অধিকার, এটি আমরা হারাতে দেব না।”

জামায়াতের স্থানীয় আমীর রফিকুল ইসলাম কবিরও একই সুরে বলেন, “বাগেরহাটের মানুষকে অবমূল্যায়ন করে আসন কমানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানা যায় না।”

উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের গঠিত বিশেষ কারিগরি কমিটি তাদের খসড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে গত ৩০ জুলাই। সেখানে বাগেরহাট জেলার চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটিতে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়। এর প্রতিবাদে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হলে আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নেয়।

স্থানীয়রা বলছেন, বাগেরহাট-৪ আসন রক্ষার জন্য আন্দোলন এখন আর শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটি এখন এলাকাবাসীর সম্মিলিত দাবিতে রূপ নিয়েছে।

@bagerhat24.com