
বাগেরহাটে আসন সংকোচনের প্রতিবাদে হরতাল-বিক্ষোভের ডাক, আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি
01/01/1970 12:00:00স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। নির্বাচনী সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে জেলায় একটি আসন কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনার প্রতিবাদে তারা হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভসহ সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, ব্যারিস্টার জাকির হোসেনসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রবিবার বিকেলে ৯ উপজেলা ও তিন পৌরসভায় বিক্ষোভ, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সর্বাত্মক হরতাল, মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল এবং ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর আবারও হরতাল পালিত হবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, শিক্ষার্থী পরিবহন ও জরুরি সেবার গাড়ি হরতালের আওতার বাইরে থাকবে।
নেতারা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন জনমতের প্রতি উপেক্ষা করে অবিবেচনাপ্রসূত আসন বিন্যাস করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল, যা গত ৩০ জুলাই প্রাথমিক প্রস্তাবে তিনটিতে নামিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন সীমানা সামান্য পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খান মনিরুল ইসলাম বলেন, “মানুষের দাবি উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চারটি আসন ফিরিয়ে না দিলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে নামব।”
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছে। এরপরও নির্বাচন কমিশন যদি অবস্থান না বদলায়, আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
এম এ সালাম জানান, আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে। একই ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন।
বর্তমান গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ আসন গঠিত হয়েছে সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে; বাগেরহাট-২ কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে; আর বাগেরহাট-৩ ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে। অথচ ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল, যা স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ও রাজনৈতিক ভারসাম্যের প্রতিফলন বলে নেতারা উল্লেখ করেন।