Logo
table-post
হরতালে স্থবির বাগেরহাট, চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
01/01/1970 12:00:00

স্টাফ রিপোর্টার

বাগেরহাটে দিনব্যাপী হরতালে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ও রোগী—সবাইকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হাঁটতে হয়েছে দীর্ঘ পথ।

রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে খুলনা থেকে মোরেলগঞ্জের কালিকাবাড়ি যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ মোল্লা। তিনি অসুস্থ অবস্থায় যাত্রা শুরু করলেও পথে গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিকবার নেমে অন্য গাড়িতে উঠতে হয়েছে। শেষে তিনি বলেন, “আন্দোলনের কারণে সাধারণ মানুষের কষ্টই বেড়ে যাচ্ছে।”

শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন একই দুর্ভোগে। স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা আক্তার জানান, খুলনা সিটি কলেজে পরীক্ষার জন্য সকালেই রওনা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একের পর এক বাধা পেরিয়ে বেলা সাড়ে দশটা পর্যন্তও বাগেরহাট ছাড়তে পারেননি।

মোরেলগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য মাকে নিয়ে খুলনা যাচ্ছিলেন মো. মিজান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তার উপর গাছ ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা মাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নিতে বাধ্য হচ্ছি।”

শহরজুড়ে একই চিত্র। দূরপাল্লার কোনো বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়েনি। আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা ও ভ্যান সামান্য চললেও সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

হরতালের বিষয়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, “বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন, অবরোধ, অবস্থান কর্মসূচি সবই করেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব প্রত্যাহার না করায় আজকের হরতালের ডাক দিতে হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ আমাদের দাবির স্বপক্ষে হরতাল সফল করেছে। যানবাহন বন্ধ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মোংলা বন্দরের কার্যক্রমও অনেকটাই স্থবির হয়ে আছে। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে।”

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই জেলায় সর্বদলীয় আন্দোলন শুরু হয়। আগামী ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

@bagerhat24.com