Logo
table-post
মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে কারাগারে ৭ বছর: খালাসের পরও রয়ে গেছে ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন
01/01/1970 12:00:00

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ (১৮ আগস্ট ২০২৫) কারাগার থেকে মুক্তির এক বছর পূর্ণ হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এক ভুক্তভোগী অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সহকারী,বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুরের কৃতি সন্তান খাঁন মনিরুল ইসলাম  এর। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “আমার জীবনের আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির ক্ষতিপূরণ কে দেবে?”

ঘটনা শুরু ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর। ওই সময়ে বিচারিক আদালত তথাকথিত রাজনৈতিক চাপে গঠিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অভিযোগভুক্ত অপর এক সহকর্মীকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

অভিযোগ রয়েছে, রায়ের এক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে রিট মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও বিচারিক আদালত ফরমায়েশি রায় ঘোষণা করে। জামিন বাতিল করে অভিযুক্তদের পাঠানো হয় কারাগারে।

ভুক্তভোগীর দাবি, আপিল করার পরও মামলাটি বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকে। শেষ পর্যন্ত সাজা ভোগ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট তাদের খালাস দেন।

তিনি জানান, “আমার ছোট্ট মেয়ে তখন বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। এখন সে ক্লাস টু-তে পড়ে। অথচ আমি নির্দোষ হয়েও বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছি। আজও প্রশ্ন রয়ে গেছে—আমার আর্থিক ক্ষতি, মানসিক যন্ত্রণা এবং শারীরিক ভোগান্তির ক্ষতিপূরণ কে দেবে?”

এ নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বলছেন, এ ধরনের মিথ্যা মামলার কারণে শুধু ব্যক্তিই নয়, পরিবারও মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগীর দাবি, আইনি খালাস পেলেও জীবনের নষ্ট হওয়া সময় ও ক্ষতি আর কোনোদিন ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।

@bagerhat24.com